নাগরিক রিপোর্ট: একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরন ও কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলে রেখে ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বনি আমিন এখনও গ্রেফতার হয়নি। বরিশাল বিশ্বদ্যিালয়ের কর্মচারী বনি আমিনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। তাকে গ্রেফতারের দাবীতে বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বরিশাল নারী শিশু নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি।
বনি আমিনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার একদল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করেছেন। পরে তাদের বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। তারা বনি আমিনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবী জানান।
নারী শিশু নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটির আহŸায়ক পূস্প চক্রবর্তী জানান, তাদের এক প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে বনি আমিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ জানান, বনি আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা এবং মামলার তদন্ত চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন জানান, বনি আমিনের বিরুদ্ধে চাকুরী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে অপহরন করে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলে ২ দিন রেখে ধর্ষনের অভিযোগে বনি আলমের বিরুদ্ধে গত রোববার বরিশাল বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা। দুই সন্তানের জনক বনি আমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী পদে চাকুরীর পাশাপাশি জেলা ছাত্রলীগের তথ্য গবেষনা সম্পাদক পদে ছিলেন। ধর্ষন মামলা হওয়ার পর তাকে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
২০২০-০২-১৩