মাশরাফি এখন আর দেশের সবার নন——

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। যৌবনের মাশরাফি তার আবেগ ছিলো উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনাও করেছেন তিনি। বলেছেন, ক্রিকেটার মাশরাফি এক সময় পুরো বাংলাদেশের ছিলেন, কিন্তু এখন তিনি একটি দলের।পুরো দেশের মাশরাফির এখন শেষ ভরসা ছাত্রলীগ বলে মন্তব্য করেনে রাশেদ।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘যৌবনের আবেগ ছিলো মাশরাফি। একসময় মাশরাফিকে আমরা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের করে নিয়েছিলাম, কিন্তু মাশরাফি হয়ে গেলেন একটি দলের। আমরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম- মাশরাফি হবে বাংলাদেশের ইমরান খান, কিন্তু তিনি হলেন এমপি।

এখন মাশরাফি দেখা করেন ক্ষমতাসীনদের সাথে। কথা বলেন রাজনৈতিক মঞ্চে।
আগে মাশরাফি দেখা করতো ভক্তদের সাথে। ভক্তদের জড়িয়ে নিতেন বুকে। আর এখন ছাত্রলীগে মাশরাফির শেষ ভরসা। মুজিববর্ষে ছাত্রলীগকে দুর্নীতি রুখে দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আবরার হত্যার মতো ঘটনা যেন ছাত্রলীগের দ্বারা না ঘটে সে বিষয়ে তিনি কথা বলেন না।

মাশরাফি ইদানিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু তিনি ছাত্রলীগের সাথেই সময় কাটান, ব্যাডমিল্টন খেলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি দেখা করেন না। অথচ মাশরাফি হয়তো জানে না, মাশরাফি যখন খেলার মাঠে খেলে টিভি রুমে তার জন্য শতশত ভক্ত সৃষ্টিকর্তার দরবারে হাত তুলে দোয়া করে। সে ভাল খেললে, টিভি রুমে আনন্দের হাট বসে। খারাপ খেললে পরবর্তীতে ভাল খেলবে সেই দোয়া সকলে করে।

মাশরাফি ইদানিং উন্নয়নের কথা বলে, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুনাম করে, কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নেমপ্লেটহীন পুলিশের আবিষ্কার ও সাহায্য ভোটের আবিষ্কার নিয়ে যে উন্নয়ন বাংলাদেশের হলো সে বিষয়টি হয়তো তিনি দেখেন নি। এই উন্নয়ন হয়তো মাশরাফির চোখে পড়ে না।

এছাড়া তিনি যে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলেন, সেটা নিয়ে তিনি তার আসনে স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ করেছেন। মাশরাফি নড়াইলে নয়, বাংলাদেশের যেকোন আসনে দাঁড়ালে ৯০% ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার কথা, কিন্তু মাশরাফির মতো লোককে ৩০ ডিসেম্বরের মতো নির্বাচনে কেন এমপি হতে হবে? আর তার আসনে তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকাও লজ্জার।

যে মাশরাফিকে দলমত নির্বিশেষে দেশের প্রতিটা মানুষ ভালবাসে, তার বিরুদ্ধে প্রার্থী থাকা মাশরাফির জন্য লজ্জাজনক নয় কি?

মাশরাফির একজন অন্ধ ভক্ত ছিলাম, এখনো তাকে ভালবাসি৷ আর সেই ভালবাসা মাঝেমধ্যে নিজের অজান্তেই সমালোচনায় রুপ নেয়, যখন দেখি মাশরাফি কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলছে। দলের উন্নয়নের গল্প বলছে…….. এখনো মাশরাফির এই হারিয়ে যাওয়াকে আমার মতো কোটি ভক্তরা মেনে নিতে পারেনি। হয়তো মাশরাফি তা জানে বা জানেনা!!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *