সৈয়দ জুয়েল: সঙ্গীতের কতগুলো ধারা থাকে, তার ভিতর চর্চা, কৌশল, সুরের মাদকতা, দর্শক আকর্ষনে চোখের ভাষা বুঝে নিজেকে মানিয়ে নেয়া অন্যতম। যার প্রতিটিরই সরব স্বতস্ফুর্তের স্পর্শ ছিল সাব্বির এলাহির গায়কীতে। সঙ্গীত চর্চা থেকে সাউন্ড ইন্জিনিয়ারিংয়ের কাজ করেছেন দক্ষতার সাথে। কাজ করেছেন উপমাহদেশের সেরা গায়ক কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমারের সাথে।
২০০১ সালে পৃথিবীর কাছে প্রশ্ন এলবামে অমিত কুমার সহ সাব্বির এলাহির গান উচ্ছ্বসিত প্রশংসিত হয়েছে সঙ্গীত অঙ্গনে। সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা সাংস্কৃতিমনা মানুষরা রন্ধ্রে রন্ধ্রে লালন করে।সংস্কৃতির ধারাগুলো বিকশিত হয় এদের স্পর্শেই। সাব্বির এলাহির মত প্রতিভাবান শিল্পীরা আছে দেখেই প্রবাসে আমরা মাঝে মাঝে নস্টালজিয়ায় ডুবে থাকি দেশীয় সংস্কৃতির রংধনুর প্রতিটি রংয়ে। শিল্পীরা ব্যাক্তিগত কারনে,অথবা অভিমানে অনেক সময় দূরে থাকেন তার শিল্পী সত্তার প্রতিভাকে পাশ কাটিয়ে,কিন্তু রক্তে যদি মিশে যায় সংস্কৃতির নীল জেছনা,সেখান থেকে উত্তরন সহজ নয়। সাব্বির এলাহিও পারেননি।
বেশ অনেক বছর সঙ্গীত থেকে দূরে থাকলেও আবার কাছে টেনে নিলেন প্রিয় এ জগতকে। বৃহত্তর বরিশালের আয়োজনে গলওয়েতে তার গান প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মনে। স্টেজ শোর অভিজ্ঞতা যে তার পূরানো,তা উপস্থিত দর্শকরা টের পেয়েছেন গভীরভাবে। আয়ারল্যান্ডের এ সঙ্গীত সেনসেশনের ফিরে আসা সঙ্গীত প্রেমীদের জন্য এক সুখের বার্তা। সহজ সরল ও সদা হাসিমুখ এ শিল্পীর সফলতা কামনা করছেন এখানে বসবাসরত সঙ্গীতপ্রেমীরা।
২০২০-০২-২৩