দেশীয় সংস্কৃতি ও আমাদের ভাবনা

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: ৫২এর ভাষা আন্দোলন আমার বাক স্বাধীনতার অধিকারের গর্বিত যাত্রা। ২১ আমার চেতনার আকাশের সবগুলো অহংকারের দরজা। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমার লাল সবুজের পরিপূর্ন এক মানচিত্র। এ দিনগুলো আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে শিল্পীর রং তুলির সুনিপুন আঁচরে।
যার প্রতিটি ভাঁজে নিষ্পেষিত হওয়ার গল্প, অধিকার আদায়ের গল্প, প্রাপ্তির গল্প এক হয়ে খেলা করে। প্রবাসে যারা আছেন- দেশের প্রতি বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকায় যারা আমরা বসবাস করি এ জাতীয় গর্বের ইতিহাস তুলে ধরতে কার্পণ্য করেননা এতটুকুও। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগিয়েও থাকে দেশের আয়োজনের তুলনায়। কিন্তু মাঝে মাঝে প্রতিবন্ধকতাও সৃস্টি করে কতিপয়ে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নিরুৎসাহিত করার জন্য।
ইউরোপের অধিকাংশ দেশের বড় একটা অংশ রাজস্ব আসে মদ বিক্রির টাকায়। তা থেকে আমরা হাউজিং বেনিফিট, চাইল্ড বেনিফিট, জব সিকার বেনিফিট থেকে শুরু করে সব ধরনের সরকারী সুবিধা নেই অধিকাংশ প্রবাসীরা। তখন কেউ এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমরা বলি এটা আমার অধিকার। শুদ্ধির হিসেব করলে গরমিলের জায়গা নেহায়েত কম নয়। দেশীয় এ উৎসবগুলো যারা করেন, তারা একান্তই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভালবেসেই করেন।
স্বাধীনতার সময় যে গানগুলি মুক্তিযুদ্ধাদের মুক্তিসংগ্রামে অনুপ্রানিত করেছিল,সাহস জুগিয়েছিলো। সে গানগুলি এ প্রজন্ম শুনলেও যখন শরীরের প্রতিটি লোমকোপ দাঁড়িয়ে যায়- এটাই আমাদের পরিচয়, আমাদের সংস্কৃতি, জীবন চলার পথের প্রেরনা। বিদেশের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে সবার সহযোগিতা না থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি পরিচয় প্রকাশে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। মুছে যাবে আমাদের সোনালী অতীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *