সৈয়দ জুয়েল: দিন যতই যাচ্ছে করোনার ঝুঁকি ততই প্রকট হচ্ছে আয়ারল্যান্ডে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী সায়মন হ্যারিসও এ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন দেশের সাধারন মানুষ েেথকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সতর্কতার সহিত কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী লিও ভরদকার এক বার্তায় ৬০% জনগন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। কিছু কিছু জাতীয় দৈনিকে করোনার মৃত্যু সংখ্যা ৮৫০০০ থেকে শুরু করে ১২০০০০ হতে পারে বলে গুরত্ব দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন। সব মিলিয়ে শান্তিপ্রিয় এ দ্বীপ রাস্ট্রটি নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় আছেন এখানের নাগরিকরা। এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে থাকলে অনেকেই নিরাপত্তার খাতিরে চাকুরী ছেরে দেয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। আবার অনেক রেস্টুরেন্টের ব্যাবসায় মন্দাভাব শুরু হওয়ায় চাকুরী হারানোর শংকায় আছেন আইরিশরা। যার পুরো চাপটা পরবে সমাজ কল্যান অধিদপ্তরের উপর। বেকার ভাতা থেকে শুরু করে যত সুযোগ সুবিধা আছে সবগুলো নিতেই বাধ্য হবে নাগরিকরা। আর এতে করে অর্থনীতি হুমকির মুখে পরবে।এদিকে বেশ কিছু দেশ থেকে আমদানী বন্ধ হওয়ায় ব্যাবসায় মন্দাভাব শুরু হওয়ায় আতংকে আছেন ব্যাবসায়ীরাও। ১৯২৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে মৃত্যু থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে যে ধ্বস নেমেছিল,তারই পুনরাবৃত্তির আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জন্মিলে মরিতে হইবে,তাই মৃত্যু এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মৃত্যুর সময় প্রিয়জনদের মুখ দেখার ভিতরও আমরা সুখ খুঁজি ঝাপসা আলোয়। আর তখনও ভাবনা এসে ভর করে-আহ! আরেকটু সময় যদি বাঁচতে পারতাম এ প্রিয় মুখগুলো দেখার জন্য! করোনা ভাইরাস এমন জটিল এক ভাইরাস মৃত্যু সময়ও প্রিয়জনদের দেখতে নাহি দেয়। এ যেন মৃত্যুর পূর্বেই অদেখা কবরের পিনপতন নীরাবতার বিষন্নতার একাকীত্বের মলিন চাঁদর। শেষ যাত্রায় প্রিয়জনের শেষ স্পর্শবিহীন যাত্রা কারোরই কাম্য নয়। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে করোনার কারনে অকাল মৃত্যুরোধে নাগরিক সচেতনতা থেকে শুরু করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসায় জনজীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসবে,এ সহজ সরল বিশ্বাস ও তার প্রাপ্তিতে জেগে উঠুক উৎকন্ঠিত মন। স্বাভাবিক মৃত্যুর সুখকর ছোঁয়ায় যেন ত্প্ত হয় সবযাত্রার প্রতিটি ধাপ।
২০২০-০৩-১০