সৈয়দ জুয়েল: গত বুধবার ডাবলিন হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে আয়ারল্যান্ডে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পরে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভরদকার সকল শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন। বেশ কিছুদিন থেকেই শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা যে দুশ্চিন্তায় ছিল,তার অবসান হলেও ভাইরাসে আক্রান্ত নিয়ে শংকা কাটছেনা। গতকাল পর্যন্ত ৭০ জন আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ আরো বেড়েছে। এদিকে শপিং মলগুলোতেও সাধারন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে মজুদ করার হিড়িক পরায় কিছুদিনের ভিতর খাদ্যদ্রবে শংকট পরতে পারে।
তবে শংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অনেক গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ,তার ভিতর অসুস্থ ভাতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ব্যাবসা ও চিকিৎসা খাতে সরকারের নেয়া সাময়িক বাজেটে সহযোগিতা প্রশংসার দাবী রাখে। শান্তিপ্রিয় এ দ্বীপরাষ্ট্রের জনগন আর্থিক সমস্যা নিয়ে ভাবনা না থাকলেও করোনা ভাইরাস নিয়ে আছেন বেশ দুশ্চিন্তায়। আগামী দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে, আর এতে করে অর্থনীতির উপর বিরুপ প্রভাব পরবে।
যে কোন অডিটিরিয়াম,বার,পাব থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের ইনডোরে একশোর অধিক মানুষের জমায়েত ও বাহিরে পাঁচশোর বেশি লোক জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সরকার। ইতিমধ্যে রেস্টুরেন্টগুলোতে কাস্টমার শংকটে পরেছে, এভাবে চলতে থাকলে অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে ধারনা করেছেন ব্যাবসায়ীরা। শপিং মলগুলোতে জীবানুনাশক দ্রব্যাদির তীব্র শংকটে ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে।
এদিকে লন্ডন থেকে বাংলাদেশী পন্য কম আসায় মূল্য বৃদ্ধির আশংকা করছেন ক্রেতারা। এ সুযোগে কোন অসাধু ব্যাবসায়ী মজুদ করে কৃত্তিম শংকট যেন সৃস্টি করতে না পারে তার জন্য সরকারের কড়া নজরদারিতে থাকবেন ব্যাবসায়ীরা। আর তাই জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবেন। করোনা ভাইরাস শক্তিশালী না হয়ে দূর্বল হয়ে মানুষজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন বলে বিশ্বাস করেন এখানকার অধিকাংশ বাঙ্গালী। তাদের এ ভাবনা যেন সত্যি হয়ে মেঘলা আকাশ কেটে নুতন আলোয় পরিপূর্ন হয় প্রতিটি পরিবার। এ হোক আমাদের উদ্বেগ মনের নিখাদ চাওয়া।
২০২০-০৩-১৩