জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবার সম্মাননা অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্বার্থে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানান।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দ্রুত নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দমন-পীড়নের অভিযোগ আনেন এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু কোনো পদ্ধতি যদি বিভক্তির কারণ হয়, তাহলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।” তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শহীদদের নামানুসারে সড়ক ও স্থাপনার নামকরণ করা হবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মাহমুদুর রহমান মান্না, জুনায়েদ সাকীসহ আরও অনেকে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়, এবং গুম-খুনের শিকারদের স্মরণে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। গুম হওয়া ছাত্রদল নেতা পারভেজের কন্যা নিধির বক্তব্যে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিএনপি তাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নতুন গতি দিতে চায় বলে নেতারা জানান।