নাগরিক রিপোর্ট: সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুল ছাত্রীকে অন্ত:স্বত্বা করার অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্রীটি সিলেট শহরের টেকনিক্যাল রোডের বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা। শামসুল হক রাসেল নামক প্রতারক ওই যুবক বরিশালের। ফেসবুকের মাধ্যমে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক করে। গত ২৮ জানুয়ারী ছাত্রীটি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের শরনাপন্ন হলে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে ছাত্রীটি বরিশাল বিমানবন্দর থানায় প্রতারক যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে বরিশাল সেভহোমে রাখা হয়। বুধবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রতারক যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে যেকোন সময় গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
মামলার এজাহারে ছাত্রীটি অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকে শামসুল হক রাসেল নামক ওই যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে নিজেকে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দেয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্রীটিকে বিয়ের প্রভোলন দেখানো হলে সে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বরিশালে আসে এবং নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় শরীফ আবাসিক হোটেলে রাসেলের সঙ্গে রাতযাপন করে। এরপর একাধিকবার ছাত্রীটি বরিশালে এসে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রাসেলের সঙ্গে রাত কাটায়। অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ছাত্রীটি অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে।
তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলে রাসেল বিয়ে করতে অস্বীকার করে। নিরূপায় হয়ে ছাত্রীটি গত ২৭ জানুয়ারী বরিশালে এসে পুলিশ কমিশনারের শরনাপন্ন হন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে সে রাসেলের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করে।
ছাত্রীটি নিজেকে সিলেটের একটি কারিগরি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ইলেট্রিক্যাল বিভাগের ছাত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছে মামলার এজাহারে।
২০২০-০২-২০