ফাঁসির আগের রাতে তারা যেমন আচরন করেছিলেন

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : ফাঁসির আগে রাতে চার ধর্ষকের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। ফাঁসির আগে অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংকে আলাদা আলাদা কক্ষে রাখা হয়। মুকেশ ও বিনয় রাতের খাবার একটুখানি খেলেও অক্ষয় শুধু চা পান করে। চারজনের কেউই সারারাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি। কারা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি।

তিহারের জেল সুপারের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রাতে আসামি পবন গুপ্তা জেলকর্মীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে। বিনয় শর্মা রাতভর পাগলের মতো ভুল বকে, কাঁদতেও দেখা যায় তাকে। তবে মুকেশ ও অক্ষয় চুপচাপই ছিল। এমনকি সকালের খাবার খেতেও অস্বীকার করে সবাই। চারজনের কেউই কিছু খায়নি।

ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে নিজেদের শেষ ইচ্ছের কথা জেল সুপারকে জানায় মুকেশ সিং ও বিনয় শর্মা। মুকেশ জানায়, সে অঙ্গদান করতে চায়। অন্যদিকে বিনয় তার আঁকা ছবি জেল সুপারকে দিতে চায়। আর তার কাছে থাকা হনুমান চলিসা পরিবারকে দিতে চায়। যদিও চারজনের কেউই সরকারিভাবে তাদের ইচ্ছার কথা নথিবদ্ধ করেনি।

চার আসামিকে পৃথক ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ফাঁসির আগে কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয় জেল চত্বর। এদিকে ফাঁসির আগে আসামিদের গোসল করানোর নিয়ম থাকলেও চারজনের কেউই গোসল করতে রাজি হয়নি।

এর পর ভোর সোয়া ৫টার দিকে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরীক্ষার পর ৩ নম্বর জেলে নিয়ে গিয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয় অপরাধীদের। টানা ৩০ মিনিট সেভাবে রাখা হয়। তার পর জেলের পরিচালক সন্দীপ গোয়েল তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়াকে (ছদ্মনাম) গণধর্ষণ করে ছয়জন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগারে তিন বছর থাকার পর ছাড়া পেয়ে যায়। আরেক অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। তার পরও চলে আইনি লড়াই। অবশেষে ২০ মার্চ সকালে অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংকে ফাঁসি দেয়া হয় দিল্লির তিহার জেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *