দৃস্টান্ত: করোনায় আক্রান্তদের বহনে ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স

Spread the love

নাগিরক রিপোর্ট: মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রামন নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে বরিশালে আরেকটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বহনে ১০টি ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহারের উদ্যেগ নিয়েছে দলটি। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বহনে বাসদের ১০জন কর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বাসদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে। পরে অম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহৃত ১০টি ইজিবাইক সাইরেন বাজিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, বরিশালে এখন পর্যন্ত একজনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। তারপরও করোনায় আক্রান্ত এমন সন্দেহের কারনে সর্দি-কাশির রোগীও অম্বুলেন্সগুলো বহন করতে রাজী হচ্ছেনা। ফলে সাধারন মানুষ আছেন ভোগান্তিতে। রোগী সনাক্ত হলে জনগণের দূর্ভোগ আরও ভয়াবহ হবে। এসব বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত ১০টি ইজিবাইক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বহন উপযোগী করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর মধ্যে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করবে এ অম্বুলেন্সগুলো।
জেলা বাসদের আহŸায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, প্রতিটি ইজিবাইকে একজন চালক ও রোগী ধরার জন্য থাকবেন আরও একজন। তারা নিজেদের নিরাপত্তায় পিপিই পরিহিত থাকবেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করা এ ১০ জনকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এইচ.এন সরকার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কিভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগী পরিবহন করতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বহনে স্বেচ্ছাসেবকদের অন্যতম ইজিবাইক চালক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর পুরো পরিবারটি অসহায় হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় সহায়তা তারা পাননা। দলের আহŸানে অসহায় মানুষগুলোর দু:সময়ে পাশের দাড়ানোর জন্যই জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রামন নিয়ে চলমান সংকটের শুরুতেই বরিশালে কর্মহীন মানুষের সাহায্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে মুষ্ঠিচাল সংগ্রহ প্রথা চালু করে বাসদ। সংগৃহীত এ চাল কর্মহীন দুস্থ্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *