সৈয়দ জুয়েল: কদম, চালতার সুবাস নিয়ে আষাঢ় এলো আবার। আকাশও ছেয়ে আছে মেঘ আর বৃষ্টিতে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- আষাঢ় এসেছে ষড়ঋতুর বাংলায়। আজ রূপময় ঋতু বর্ষার প্রথম দিন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ঋতু বর্ষার। এই আষাঢ়ে তারুণ্যের বৃস্টি ভেজার সেই মাতোয়ারা ভাব অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
বাংলা সাহিত্যে বর্ষার অনেক প্রভাব রয়েছে। কবি রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য গান-কবিতায় বর্ষা ঝরছে অঝোর ধারায়। রবীন্দ্রনাথ বর্ষা নিয়ে এতটাই মাতামাতি করলেন যে বাংলার আরেক প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি হওয়া সত্তে¡ও বর্ষা নিয়ে কোনো কবিতাই লিখলেন না। জীবনানন্দ দাশ না লিখলেও ত্রিশের অন্য আধুনিক কবিরা কিন্তু বসে থাকেননি। নজরুল থেকে শুরু করে বুদ্ধদেব বসু, জসীম উদ্দীন সবাই বর্ষার রূপ বর্ণনা করেছেন।
এবার বর্ষা আমাদের দ্বারে এসেছে এক প্রাণঘাতী করোনাকালে। করোনায় মৃত্যু দেখতে দেখতে শোকে আচ্ছন্ন গোটা দেশ। এবার বর্ষা এমন সময়ে এলো যখন গরমের দাপট চলছে। বৃষ্টি হচ্ছে ক’দিন ধরেই, কিন্তু গরম কমছে না। আকাশেও মেঘের ঘনঘটা। আছে নিম্নচাপ, অন্যদিকে ঝিরঝির বৃষ্টি। প্রকৃতি যেন বলেই দিচ্ছে সময়টা এখন বর্ষার। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- আজ মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়। দেশের কোথাও কোথাও বর্ষণ হতে পারে।
করোনাকালের এই আষাঢ়ে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। কোনভাবেই বৃষ্টিতে ভিজে জ¦র হতে দেয়া যাবে না। শিশু ও বৃদ্ধদের এ বিষয়ে অধিক যত্ন নিতে হবে। সজাগ হতে হবে খাদ্য অভ্যাসেও। ঘরে থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ।
২০২০-০৬-১৫