চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক সম্রাটের বিদায়

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এ্যন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ওই গানটি গান তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক গেয়েছেন হৃদয়কাড়া গান। মুগ্ধ করেছেন দর্শক-শ্রোতাদের।

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে গাওয়া হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বাধিক গান। তার গাওয়া গানের পরিমাণ ১৫ হাজার। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গানগুলো তাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। জনপ্রিয় বিভিন্ন গানের কণ্ঠ দিয়েছেন এ গুণী শিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ প্রভৃতি।

শিল্পী এ্যান্ড্রূ কিশোরের জন্ম ৪ নভেম্বর, ১৯৫৫ সালে রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন। ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত গায়ক এ্যান্ড্রূ কিশোর দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন। দেশের বাইরে চিকিৎসাও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রাজশাহীতে তার বোনের বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *