নাগরিক ডেস্ক : বড় দু:সময় যাচ্ছে ইমরান খানের। খারাপ সময় যেনো তার কাটছেই না। ক্রমশ নিজের দেশেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এবার পাক সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলো তাকে। আদালত জানিয়ে দিলো দেশ চালানোর যোগ্যতা নেই ইমরানের। একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হতে হলো ইমরানকে। একটি নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি কাজী বলেন জনগণের ফলাফল প্রকাশ করা সরকারের অগ্রাধিকার। প্রদেশে সরকার থাকার পরেও কাউন্সিল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলো না। এরপরই তিনি বলেন এই সরকার দেশ চালাতে জানে না।
অথবা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই। লাহোর হাইকোর্টে নিগৃহীত হতে হয় ইমরান খানের বিশেষ সহকারীকে। তাকে ডিম ছুড়ে মারা হয়। অভিযুক্ত পাকিস্তান মুসলিম লীগ। পরে শাহবাজ অবশ্য জানান তারা ইমরান খানের যোগ্য সহচর তাই তারা বদলার পথে যাবেন না। গত অক্টোবর থেকে বিরোধীদের প্রতিবাদ আন্দোলনে ধাক্কায় ক্রমশ পিছু হটতে শুরু করে পাক প্রধানমন্ত্রী। তবে সম্প্রতি মহাজোটকে প্রবল ধাক্কা দিয়ে আস্থা ভোটে বিজয়ী হন। তবে পাকিস্তান কোর্টের এই মন্তব্য নতুন করে চাপে রাখবে ইমরানকে। নিজের দেশে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে ইমরান বলেছিলেন পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি উন্নত দেশ ভারত। দুর্নীতিতে ডুবেই শেষ হয়ে গেছে ইসলামাবাদের উন্নয়নের আশা। তবে তার এই মন্তব্য যে এভাবে তার কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে তা তিনি বুঝতে পারেন নি। তাই ঘরে-বাইরে এখন যথেষ্ট চাপে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
২০২১-০৩-১৭