নাগরিক ডেস্ক:
ঈদ শেষে বরিশাল থেকে মানুষ এখনও ছুটছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। যেকারনে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে বরিশালের বাস টার্মিনালগুলোতে। দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় বাস, থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন পরিবহনে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। এ অবস্থায় একদিকে যেমন দুর্ভোগ তেমনি অপরদিকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এদিকে ধনাঢ্যরা আগেই বিমানের টিকেট দখল করায় তারা সহজেই যেতে পারছেন গন্তব্যে। যদিও সবখানেই কমবেশি উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি।
সোমবার বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনালে ভিড় ছিল তীব্র। বরিশালের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা মাহিন্দ্রা, সিএনজি, মাইক্রোবাস ও আন্ত:জেলায় চলাচলরত বাসে চড়ে দিনভর বরিশাল ত্যাগ করতে দেখা গেছে অধিকাংশকেই।
রাজধানীতে একটি বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি করেন বরিশাল নগরীর বাসিন্দা মাসুদ আহমেদ। তিনি বলেন, বরিশাল থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকায় যেতে ৫০০ টাকা খরচ হতো। এখন গুনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা। একাধিকবার যানবাহন বদল করায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার পাশাপাশি ভোগান্তিও বেড়েছে। নলছিটির যাত্রী মাহমুদা খানম জানান, যানবাহন কম থাকার সুযোগে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন চালকরা। তার উপর নানা ঝুকি রয়েছে।
মেহেদী হাসান নামে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বরিশালের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি বিমানে সকালে রাজধানীতে পৌছেছেন। টিকেট অনেক আগে বুকিং করে রাখতে হয়েছে। তবে ভাড়া কয়েকগুন বেশি বলে তার দাবী।
তবে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের একাদিক পরিবহন চালক জানান, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে উদ্বুদ্ধ করলেও তা মানতে অনিহা দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। পরিবহণে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় আলাদা সিট ব্যবহারে রাজি হচ্ছেন না। ইমাম হোসেন নামে একটি পরিবহনের ম্যানেজার বলেন, তারা যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিচ্ছেন। কিন্তু যাত্রীকেও বাস্তবাতা বুঝতে হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক আ: রহিম বলেন, দুই বাস টার্মিনালেই ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীদের হয়রানী বন্ধে তারা সতর্ক রয়েছেন। তবে ভাড়া বেশি নেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা প্রসঙ্গে এড়িয়ে গেছেন।