নাগরিক রিপোর্ট:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের বিরুদ্ধে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন দিয়েছে বরিশালের সাইবার ট্রাইবুনাল। বিচারক গোলাম ফারুক মঙ্গলবার তাকে জামিন দেন। বিএনপি নেতা হাফিজের আইনজীবী অ্যাড. কাজী এনায়েত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ্যাড: এনায়েত বলেন, শুনানী শেষে বয়স বিবেচনায় বিচারক তাকে (হাফিজ) জামিন দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন থানায় মেজর (অব:) হাফিজের নামে এ মামলা করেন জেলার বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুল হক। এ মামলায় আরও ৬জনকে আসামী করা হয়েছিল কলে জানান এ্যাড. এনায়েত। মামলাটি বর্তমানে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, ২ নম্বর আসামি বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে হাফিজের ফোনালাপ ফাঁস হয় গনমাধ্যমে। কথপোকথনে হাফিজ সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের পরিকল্পনা করছিলেন।
হাজিরা শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার মামলাবাজ। তারা ক্ষমতায় থেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই নয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকভাবে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। অথচ তাদের হিসাব জানতে না চেয়ে সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু তা ভুলন্ঠিত হয়েছে। এই গনতন্ত্র উদ্ধার করতে আবার সংগ্রামে নামতে হবে।
এসময় মেজর (অব:) হাফিজের সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালত পাড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সভায় অংশ নেন।