কমিউনিটির নেতা কারা হবেন, কেন হবেন!

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল:
আয়ারল্যান্ডে আবাই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এর আগে গলওয়ে কাউন্টির বাংলাদেশ কমিউনিটির নির্বাচন শেষ হবে। প্রকাশ্যে, গোপনে চলছে প্রচারনাও। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে প্রার্থীদের ব্যাস্ততা ততই বাড়বে। নির্বাচনে জিততে নানা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে কমিউনিটির সামনে সরব উপস্থিতি
ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা প্রমান করার চেষ্টা করেন-সব সময়ই পাশে আছি আপনাদের! আসলেই কি তারা পাশে থাকেন?

 

অভিযোগ আছে শেষ আবাইর কমিটি আগের সব কমিটির চেয়ে ব্যার্থ এক কমিটি। বিশেষ করে প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির মূল কাজ হলো দেশিয় জাতীয় অনুস্ঠানাদি আয়োজনের। যাতে করে সকল বাংলাদেশির মিলন মেলায় একে অপরের মাঝে সম্পর্কের সেতু বন্ধন তৈরি। সাথে দেশিয় সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। আগের ঐ কমিটির মাঝে অনেকের নানা প্রতিভা থাকলেও বিকাশ ঘটেনি নানা কারনে।

 

এর মাঝে অন্যতম কারন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাদের কমিউনিটির পেছনে সময় না দেয়া। তারা তাদের পেশা ও ব্যাবসা নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত ছিলেন,যে কমিউনিটি তাদের কাছে পরীক্ষায় তৃতীয় বিষয়ের মত মনে হয়েছিলো। কমিউনিটির নেতৃত্বে যারা আসতে চান,তাদের ফোনটি চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখতে হয়। সব শ্রেনীর মানুষের সাথে সমান সখ্যতা থাকতে হবে,কোন দলের প্রতি দূর্বলতার নগ্ন হাওয়ায় যেন কমিউনিটির নেতা কর্মীরা উড়ে না যান,সেদিকটা খেয়াল রাখতে হয়।

স্থানীয় অথবা পুরো আয়ারল্যান্ড নিয়ে যে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে,ভোটারদের নতুন করে ভাবার সময় এখনই-কাকে নির্বাচিত করবে! পেশাগত কারনে যারা অতি ব্যাস্ত,তাদের উচিত হবে নির্বাচনে না আসার। শুধু নাম সর্বস্ব নেতা হলে আপনার হয়তো লাভ আছে,কিন্তু সাধারন বাংলাদেশিদের কোন লাভ নেই। বর্তমানে আবাই নির্বাচনে ভোটার না হওয়ার মূল কারন আগের নেতৃত্বের দূর্বলতা। সেই দূর্বলতা কাটাতে দরকার নতুন মুখ,নতুন চিন্তাশীল কিছু মানুষ। আবার একই মানুষ কেন বারবার আসবে নেতৃত্বে!

সুযোগ করে দিতে হবে নতুনদের, নতুন পদে। আবাইর আদৌ দরকার রয়েছে কি-না,এই প্রশ্ন যেমন বেশ কয়েক বছর ধরে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। সেই চিন্তাধারা থেকে বাংলাদেশিদের উত্তরন ঘটাতে হলে শক্তিশালী এক কমিটির বিকল্প আর কিছুতে নেই। আবাইর বেহাল অবস্থা দেখে স্থানীয় কমিউনিটিও এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

দূর্বল নেতৃত্বে দূর্বল কমিউনিটির জন্ম হলে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিটির ওপর থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিবে স্থানীয় বাংলাদেশিরা। এতে করে কমিউনিটির ব্যানার ছাড়াও আলাদা আলাদা ভাবে পালন হবে দেশিয় সব আয়োজন। যেটি একটি কমিউনিটির জন্য লজ্জার। আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশিদের মাঝে বর্তমানে যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে,তাতে করে কোন বাংলাদেশি কমিটি না থাকলেও কোন ক্ষতি হবেনা।

এখন নানা ব্যানারে দেশিয় নানা আয়োজন হচ্ছে।যেটি আগে কখনো হয়নি। এই পরিবর্তনের জোয়ারে শক্তিশালী কমিউনিটি গঠন না হলে তলিয়ে যাবে
বাংলাদেশি কমিউনিটির সংগঠন। ভেবে দেখুন জোয়ারে টিকবেন তো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *