গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির নির্বাচন আগামী ২৯ মে

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল:

এই প্রথমবারের মত সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন হতে যাচ্ছে গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি। এর আগে পনেরো বছরে সিলেকশনের মাধ্যমেই গঠন হয়েছিলো এ কমিউনিটি। ইতিমধ্যে ১৬টি পদে সরাসরি নির্বাচন হওয়ায় একদিনে মনোয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ২৮টি। আগামী ২৪ এপ্রিলের আগে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ২৫ এপ্রিলের পরই শুরু হবে মূলতঃ মূল প্রচারনা। তবে এর আগেই প্রকাশ্যে,অপ্রকাশ্যে চলছে প্রচারনার কাজ।

বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীরা এখনো তাদের নিজশ্ব কোরামের মাঝেই রাখছেন তাদের আলাপচারিতা। কোরাম খোলস থেকে বের হওয়ার পরই জমে উঠবে প্রচারনা। এখন পর্যন্ত শুধু সভাপতি পদ নিয়ে সর্বস্ব আলোচনা হলেও কমিউনিটির সাধারন সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ে তেমন আলোচনা এখনো জমে ওঠেনি।

একটি সংগঠনের জন্য এ দুটো পদ বেশ গুরুত্ব বহন করে। হয়তো আগামী কিছুদিনেই খোলাসা হবে কারা কারা নির্বাচনে আসছেন এ পদে। এবার কমিটিতে বাড়তে পারে মহিলা সম্পাদিকার পদ।আগে যেখানে দুটি পদ ছিলে,এবার সেখানে হতে পারে চারজন। এটি একটি ইতিবাচক দিক। নেতিবাচক দিক হলো কমিউনিটির কাজে অতীতেের কোন গুরুত্বপূর্ণ সভা,সমাবেশ,দেশিয় আয়োজনে বেশ কিছু সদস্য অনুপস্থিতিরাও আসতে পারনে নির্বাচনে।

এরা শুধু নামের পাশে ট্যাগ লাগানোর জন্যই এসে থাকেন নির্বাচনকালীন সময়ে। যেহেতু এবার সরাসরি ভোটের সুযোগ রয়েছে গলওয়ে বাংলাদেশিদের,তাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি ভাবার সময়। কমিউনিটির উন্নয়নে যাদের অবদান রয়েছে,পরিশ্রম করার ও সকল বাংলাদেশিদের এক ছাতার নীচে নিয়ে আসার,সে সকল প্রার্থীদের পাশে থাকবে সচেতন বাংলাদেশিরা, এটি যোগ্য প্রার্থীদের প্রত্যাশা।

 

কোন সভাপতি,সাধারন সম্পাদক,বা পুরো কমিউনিটি যেন দশ,বিশ,তিরিশ পরিবারের কমিউনিটি না হয়ে যায়। যারাই দায়িত্বে আসবেন,বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব না দিলে,সে কমিউনিটি সকল বাংলাদেশির কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারাবে। স্টুডেন্ট,ওয়ার্ক পারমিট
নিয়েও যে আলোচনা,সমালোচনা অতীতে হয়েছে,বা এখনও হচ্ছে, এ আলোচনা যাদু ঘরে পাঠিয়ে কমিউনিটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে উভয়ের। বৈধ,অবৈধ,ছাত্র,ওয়ার্ক পারমিটি সব মিলিয় দিনশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা যত বেশি বিভক্তি এড়িয়ে চলবো,তত বেশি আমাদের কমিউনিটি শক্তিশালী হবে।

গলওয়ে বাংলাদেশিদের বেশ সুনাম রয়েছে। গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির মাধ্যমে অনেক ভালো ভালো কাজ হয়েছে,যেগুলো অনেক কমিউনিটির মাঝে ছিলোনা। এ সুনাম আরো ছড়িয়ে দিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাগ,অভিমান,ক্ষোভ ভুলে এগোনোর নামই সফলতা। একটি সুস্ঠ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। স্বল্প সময়ে ভোটার তালিকার কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন। উপদেষ্টা,নির্বাচন কমিশনাররা নিজেদের অর্থায়নে ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বেশ কিছু সরঞ্জামাদি ক্রয় করেছেন নির্বাচন পরিচালনার জন্য। নিজেদের কাজ,ব্যাবসার ক্ষতি করে কমিউনিটির সেবা করছেন। এতে তাদের আর্থিক কোন লাভ নেই। এত পরিশ্রমের একটি-ই উদ্দেশ্য- একটি সফল নির্বাচনের আয়োজন।

তাই এ নির্বাচনকে সফল করতে সকল বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসতে হবে উদার মন নিয়ে। মনে রাখতে হবে কমিউনিটির সফলতায় যেমন সকল বাংলাদেশিদের সুনাম বাড়ে,ব্যার্থততায়ও এর দায় আমরা এড়াতে পারিনা। গলওয়ের গ্লেনরক বিজনেস পার্কে স্বতস্ফূর্তভাবে যেমন মনোয়ন নিয়ে মাঠে নামছেন প্রার্থীরা, তেমন স্বতস্ফুর্ততা নিয়েই আগামীর গলওয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি এগিয়ে যাবে। এটিই প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *