আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের আগে অন্তত দুটি মহড়া আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে—একটি সেপ্টেম্বর মাসে, অন্যটি ভোটের ঠিক আগে।
সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অংশ নেওয়া এক উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনে সহিংসতা হবে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।” মহড়ার মাধ্যমে সম্ভাব্য সহিংস পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রতিক্রিয়ার কৌশল চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার এক বিশেষ সহকারী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের গড়িমসি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধ দমনেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে ঢাকার পুরোনো বাসগুলো রাস্তা থেকে সরানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। তবে জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে পুলিশ ব্যস্ত থাকবে, সে বিবেচনায় এ কার্যক্রম ৬ আগস্ট থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আলোচিত হয় মালয়েশিয়ায় ‘উগ্র জঙ্গি আন্দোলনে’ জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৬ জনের বিষয়টিও। এদের কতজন প্রকৃত বাংলাদেশি, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আলোচিত হয় গত জুলাই-আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া দেড় হাজার আগ্নেয়াস্ত্র। এগুলো উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। বিজিবি ও র্যাব এই অস্ত্র উদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, বিমানবন্দরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এটা সম্ভবত ভুলবশত হয়েছে।” তিনি জানান, এটি লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ছিল।