ইন্দোনেশিয়ার বালির কাছে উত্তাল সাগরে ৬৫ জন আরোহী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৮ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৩ জনকে। দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির নাম কেএমপি তুনু প্রাতামা জায়া। বুধবার দিন শেষে পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর থেকে রওনা হয়ে প্রায় আধঘণ্টা পরই উত্তাল সাগরে ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিটি যাচ্ছিল বালির গিলিমানুক বন্দরে, যা কেতাপাং থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
জাতীয় উদ্ধারকারী সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। সঙ্গে ছিল ১৪টি ট্রাকসহ মোট ২২টি যানবাহন। ডুবে যাওয়ার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
পূর্ব জাভার বানয়ুওয়াঙ্গি শহরের পুলিশপ্রধান রামা সামতামা পুত্রা এএফপিকে জানান, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকায় অনেক আরোহী জ্ঞান হারিয়েছেন। এখনো অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় ৯টি নৌকা। রাতভর অভিযান চললেও ঘন অন্ধকার, তীব্র স্রোত এবং সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ উদ্ধারকাজকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা নতুন নয়। দ্বীপদেশটির নানা প্রান্তে যাতায়াতের জন্য ফেরির ওপর নির্ভরতা বেশি হওয়ায় প্রায়শই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন, খারাপ আবহাওয়া ও দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থাই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উদ্ধারকারী সংস্থা আশঙ্কা করছে, নিখোঁজদের অনেকেই হয়তো ফেরির ভেতরে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেরিডুবি একটি বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।