নাগরিক রিপোর্ট ॥ শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকেল ৫টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ৭টায় দলের মহাসচিব বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদ ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সেখানকার মন্ত্রী, বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যেসব বক্তব্য দেশটির বিভিন্ন পত্রিকায় বেরিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, ১৯ লাখ যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, এই ধরনের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে, সরকার এ ব্যাপারে নীরব থাকছেন। এখানে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে নিশ্চিত করেছে যে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যখন বাদ পড়াদের বাংলাদেশের নাগরিক বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, তখন কিন্তু সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকছে না। আমরা এই বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই ব্যাপারে পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাই, ব্যাখ্যা দাবি করছি।
মহাসড়কে টোল আদায়ের সরকারের সিদ্ধান্তেরও নিন্দা জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনে সেই অবস্থায় দাঁড়ায়নি যে, রাস্তার ওপরে টোল আদায় করতে হবে। আমরা মনে করি জনগণের ওপর আরও একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
২০১৯-০৯-০৭