ছাত্রীদের দিকে কুনজর: গাঙ্গুলীর ২ তত্বাবধায়কের অপসারন দাবী

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ বরিশাল বিএম কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম সরদারের বিরুদ্ধে অশালীন আচরনের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম ছাত্রীদের দিকে কুনজরে তাকান, যখন তখন কক্ষে প্রবেশ করেন, খাবার সময় ডায়নিংয়ে বসে থাকেন। এসব গুরুতর বিষয় তত্বাবধায়ক শাহ আলমের কাছে বললেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এর প্রতিবাদে সোমবার ছাত্রীনিবাসের দেড় শতাধিক ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২১টি অভিযোগে তারা দুই তত্বাবধায়কেরই অপসারন দাবী করেছেন। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকর রহমান সিকদার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, তারা অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের দেড় শতাধিক ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে ২১টি অভিযোগ তুলে ধরেন তত্বাবধায়ক প্রফেসর আবু সাদেক মোহাম্মদ শাহ আলম ও সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম সরদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মেয়েদের দিকে কু নজর দেয়া, রাত ১১টার পর মেয়েদের রুমে প্রবেশ, রাতে টয়লেট থেকে মেয়দের ডাকা, যখন তখন কক্ষে প্রবেশ, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন সেলফি তুলতে মেয়েদের বাধ্য করা, বাজে ব্যবহার, ছাত্রীদের বহিস্কার, মেয়েদের ব্যাগ চেক করা, চরথাপ্পর দেয়ার হুমকী, মেয়েদের শরীরের আপত্তিকর জায়গায় সার্চ করার চেস্টা।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রীরা লিখিতভাবে ছাত্রীনিবাসের তত্বাবধায়ক প্রফেসর আবু সাদেক মোহাম্মদ শাহ আলম ও সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম সরদারের অপসারন দাবী করেছেন অধ্যক্ষের কাছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রী বলেন, সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অসাদাচরন করছেন। এ বিষয়টি তারা তত্বাবধায়ককে বললেও তিনি তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। এর ফলে ছাত্রীরা অনেকাংশে ওই শিক্ষককে হুমকী ও অনিরাপদ মনে করছেন।
ছাত্রীনিবাসের অভিযুক্ত সহকারী তত্বাবধায়ক আ: রহিম সরদার বলেন, “ছাত্রীরা কক্ষে হিটার চালাত। এটি বন্ধ করেছি। সম্প্রতি একটি ছেলে ছাত্র হোস্টেলে মারা যায়। যেকারনে হিটারের বিষয়ে তারা কঠোর হয়েছেন। ছাত্রীরা বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসতো। তারা ডায়নিং এর খাবার যার যার রুমে নিয়ে যেত। এর ফলে কক্ষ নোংরা হত। অধ্যক্ষের সাথে আলাপ করে ডায়নিং এ খাবার নিশ্চিত করেছি।” তিনি বলেন, যারা কক্ষে কক্ষে রান্না করতো তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এমন অভিযোগ করেছে। ওরা যেসব অভিযোগ করেছেন তা স্বরযন্ত্রমুলক।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের আমরা বলছি দেখবো। তিনি বলেন, হয়তো হিটার বন্ধ করা ও গেটে তল্লাশি করায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকর রহমান সিকদার বলেন, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুর রহমান সিকদার: “আমরা ছাত্রীদের সাথে বসবো। এরপর তাদের কাছে থেকে ঘটনা শোনা হবে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *