এক শ্রমিককে মারধর করে পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে হাসা বিনতে সালমানকে ১০ মাস কারাদন্ড ও ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে হাসা বিনতে সালমানের নিরাপত্তারক্ষী রানী সাইদীকে ৮ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার প্যারিসের একটি আদালত এ দন্ডাদেশ দেয়। রায় ঘোষনার সময় হাসা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
৪৩ বছর বয়সী হাসা বিনতে সালমান প্যারিসের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। ২০১৬ সালে অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে আসা এক পাইপ মিস্ত্রীকে মারধরের পর তার পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করেন হাসা।
প্যারিসের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘটনার শিকার পাইপ মিস্ত্রী আশরাফ ইদ এসব অভিযোগ জানিয়ে রাজকন্যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, রাজকন্যা হাসার নির্দেশে নিরাপত্তাকর্মী রানী সাইদী শ্রমিক আশরাফকে মারধর করে কয়েকঘন্টা বেঁধে রাখেন এবং হাসার পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করা হয়। ঘটনার পর পরই হাসা ও দেহরক্ষী ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান। ২০১৮ সালের মার্চে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর চলতি বছরের ৯ জুলাই তাদের বিচার শুরু হয়।
২০১৯-০৯-১৩