নাগরিক রিপোর্ট ॥ ম্যাচ মাঠে গড়াবে দুপুর পর্যন্ত এই ভরসা খুব একটা পাওয়া যায়নি। বৃষ্টির কারণে দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়। ওভার ১৮ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু বোলিংয়ে বাংলাদেশের শেষ এবং ব্যাটিংয়ের শুরুটা মন ভেঙে দেয় ভক্তদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিবর্ণ ব্যাটিং-বোলিং দেখার চেয়ে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় যেন শ্রেয় ছিল। তবে তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ ফিফটি করে ম্যাচ বের করে নেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে জিম্বাবুয়ের হাতের ম্যাচ ৩ উইকেটে ছিনিয়ে নেন মোসাদ্দেক।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে শুরুর ১০ ওভারে টাইগার স্পিনার ও পেসারদের দাপটে ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে রায়ান ব্রার্ল ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস ২৬ রান যোগ করেন। এরপরই এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান লিটন, সৌম্য ও মুশফিক। একটু পরেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরও বেশিক্ষণ ভরসা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারায়।
সেখান থেকে আফিফ এবং মোসাদ্দেক যোগ করেন ৮২ রান। আফিফ হোসেন ২৬ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন তিনি। নিজের অভিষেক টি-২০ ম্যাচে ব্যর্থ হন আফিফ। দলে ফিরে সেটা পুষিয়ে দিলেন বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার। তাকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যেতে না দেওয়ার কারণও বুঝিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেক খেলেন ২৪ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে শুরুতে লিটন দাস ১৪ বলে ১৯ রান করে দলকে ভরসা দিতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি ফিরতেই ছন্নছাড়া দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরে ভরসা দেখছিল রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু তারা যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ রানে আউট হন। সেখান থেকে বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান আফিফ-মোসাদ্দেক।
২০১৯-০৯-১৩