সৈয়দ জুয়েল ॥ ব্রিটিশ সম্রাজ্যের সূর্য্য অস্তমিত হয়েছে সেই বহু আগেই। পৃথিবীর যতগুলি দেশে তাদের আধিপত্য ছিল, প্রায় প্রতিটি জায়গায়ই তাদের আধুনিক জীবন যাপন চোখে পরার মত, আর নিরাপত্তা বলয়টা তারা এমনভাবে তৈরী করতো যা এ যুগের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকেও হার মানায়। লঘ কে ব্রিটিশদের এরকমই এক নিদর্শন। ২০৮৫ একর জায়গার উপর তৎকালীন ব্রিটিশ রাজা ম্যাকডরমেটসের আদেশে জন ন্যাশ তৈরী করেন লঘ কে ক্যাসল সহ পুরো স্থাপত্যগুলো।
জেলখানা, রাজা, রানীর থাকার ক্যাসল, আশেপাশের গ্রামগুলো নজরদারির জন্য অবজারভেশন টাওয়ার,অপরাধীদের স্বাস্তির জন্য আলাদা জায়গা থেকে আরো অনেক। চারদিকে নদী, মাঝখানে ক্যাসলটি। এখানেই থাকতেন তৎকালীন রাজা, রানী। এ ক্যাসলটিতে প্রবেশের জন্য নদীর নীচ থেকে একটা টানেল নির্মান করা হয়েছিল, এখনও ক্যাসলে ঢুকতে হলে নদীর নীচের টানেল থেকেই যেতে হয়। কেউ যদি এর ইতিহাসটা না যানেন, তাহলে ক্যাসলের প্রবেশদ্বার নিয়ে দ্বিধা দন্দ্বে পরা অমূলক নয়। টানেলের একদিকে ক্যাসেলের প্রবেশ, আবার ওখান থেকেই মাটির নীচ থেকে আরেকটি টানেল চলে গিয়েছে অবজারভেশন টাওয়ার। এই অবজারভেশন টাওয়ার থেকে পুরো বয়লি শহরটা দেখা যেত। অবজারভেশন টাওয়ার সংলগ্ন একটা আন্ডারগ্রাউন্ড আছে, যেটা আবার টানেলের সাথে সংযুক্ত। কোন প্রজা বা কর্মচারীরা যদি কোন অপরাধ করতো এখানে নিয়ে এসে স্বাস্তি দেয়া হত। প্রায় ৮৩৫ বছরের পুরানো এ দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক ভিড় জমান রোজকমনের বয়লি শহরে।