সৈয়দ জুয়েল ॥ শুরু হল বৃহত্তর বরিশাল পরিবারের পথচলা। ইউরোপের দ্বীপরাস্ট্র আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের অঞ্চল ভিত্তিক যদি হিসেব কষা হয়, তাহলে বৃহত্তর বরিশালের লোকজন অনেক বেশি। সে তুলনায় বৃহৎ কোন সংগঠন গড়ে উঠেনি, কয়েকবার চেস্টা যে করা হয়নি তা নয়। তবে তা খুব বেশিদূর এগোয়নি।
কিন্তু এবারের উপস্থিতি বৃহত্তর বরিশালের লোকজনের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। বুধবার ডাবলিনের এরোমা স্পাইসে সামসুল হকের সভাপতিত্বে বিকাল তিনটায় এ অনুষ্ঠানে কোরআন তেলোয়াত করেন জাকির হোসেন। এরপর উপস্থিত প্রত্যেকেই বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর বরিশাল পরিবারকে কিভাবে আরো সংগঠিত করা যায়।
প্রবাসী জাহিদ মোমিন চৌধুরী বলেন- আমাদের অঞ্চলের লোক বেশি আয়ারল্যান্ডে, তারপরও আমাদের ভিতর সবার সাথে সেরকম বন্ধন নেই, এটা হতাশাজনক। আমাদের ভিতর সেতুবন্ধন তৈরীর লক্ষ্যেই বৃহত্তর বরিশাল পরিবার। জাকির হোসেন বলেন, আমাদের যার যা অভিজ্ঞতা আছে, তা এ সংগঠনকে দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে। এটা সম্পূর্ন একটা অরাজনৈতিক সংগঠন হবে। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবার। আমাদের ভিতর যে দেশপ্রেম আছে তা আজ প্রমান হলো। আমাদের এ সম্পর্ক অবশ্যই অটুট থাকবে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে মো: মোস্তফা বলেন- আমরা যেন অন্য অঞ্চলের লোকদের খাট করে না দেখি। সব অঞ্চলের লোক আমাদের কাছে সম্মানিত। আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন আঃ রহমান, ফারুক সরেয়ার, শাহিন রেজা, জাকির, তুহিন গাজী, আব্দুল লতিফ, জাকির বুলবুল, আরিফ, নান্টু রয়, সাঈদ, মোঃ রফিক, টিটু খন্দকার প্রমূখ। সবার বক্তব্যে একটি কথাই বেশি উচ্চারিত হয়েছে- ‘মোরা বরিশাইল্লা, মোরা সুখে, দুখে আজ থেকে এক পরিবার।’
শেষে সভাপতির বক্তব্যে সামসুল হক বলেন, একজনের মতের সাথে আরেকজনের মতের
অমিল থাকতেই পারে, তাই বলে কারো ভিতর যেন সম্পর্কের অবনতি না ঘটে সেদিকে
সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোন সমস্যা হলে আমরা আলোচনা করে তা সমাধান করবো।
হাসিমুখে এ সংগঠনের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন- জাহিদুল ইসলাম ও মোঃ জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠান শেষে রাতের খাবার সহ মিস্টি বিতরন করেন একে অপরের মাঝে।