মাছ খেতে খেতে তরুনী হয়ে গেলেন বৃদ্ধা!

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এটা প্রচলিত প্রবাদ। এ প্রবাদের যৌক্তিক কারণও ছিল। এমন একটা সময় ছিল যখন বাঙালির ঘরে গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা দুধের গরু ছিল।তবে বাঙালি, মাছ না খেলে খাদ্য পর্ব যেন ঠিক সম্পূর্ণ হয় না! প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই প্রতিদিন মাছ রান্না হয়, আয়েস করে খাওয়াও হয়, ওঠে তৃপ্তির ঢেঁকুর… কিন্তু একবার ভাবুন তো, মাছ খেয়ে যদি বয়সটা একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়?

নিশ্চয়ই ভাবছেন, এ কী গাঁজাখুড়ি কথা? কিন্তু বাস্তবে যে ঠিক এমনটাই ঘটেছে! মাছ খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই এক তরুণী হয়ে গেলেন বৃদ্ধা। তরতাজা ফুটফুটে তরুণীর শুধুমাত্র মাছ খাওয়ার কারণে আজ বৃদ্ধার মত চেহারা… মুখভর্তি ভাঁজ, ঝুলে পড়া চামড়া…২৩ বছরের ওই তরুণীকে দেখলে মনে হবে যেন ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা।

অবিশ্বাস্য, ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। প্রতিদিনের মতোই মধ্যাহ্নভোজনে মাছ খান গৃহবধূ থি ফুয়ং। এরপরই বিপত্তি! ওই তরুণীর শরীরে শুরু হয় অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন। অ্যালার্জির জেরে প্রায় রাতারাতি তরুণী থেকে বৃদ্ধায় পরিণত হন থি ফুয়ং।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৮ সালে। বুড়িয়ে যেতে থাকেন ওই তরুণী। দীর্ঘ ১২ বছরেও মেলেনি সমাধান। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। অবশেষে, ভিয়েতনামের মেকং ডেলটা অঞ্চলের বেন ট্রি এলাকার বাসিন্দা থি ফুয়ং ও তার পেশায় মিস্ত্রি স্বামী থান টুয়েন সাহায্য চেয়ে পুরো ঘটনাটি মিডিয়ার সাহায্যে প্রকাশ্যে আনেন।

চিকিৎসকদের মত, থি ফুয়ং-এর পরিস্থিতিকে ডাক্তারি ভাষায় বলে লাইপোডিসট্রফি। এটি এমন একটি অসুখ যেখানে ত্বকের নীচে পুরু ফ্যাটি টিস্যুর স্তর তৈরি হয়। এই সিনড্রোমের চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত নেই বললেই চলে। এই অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চামড়া ঝুলে পড়ে, গোটা শরীর বুড়িয়ে যায়। মারাত্মক বিরল এই অসুখ। গবেষণা বলছে, গোটা বিশ্বে মাত্র ২ হাজার মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত।

২০০৬ সালে নিজের বিয়ের ছবি দেখে এখনও ভেঙে পড়েন থি ফুয়ং। জানান, মাছ খাওয়ার পর প্রথমে গোটা শরীর চুলকাতে শুরু করে।

তিনি জানান, হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না, তাই স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকেই অ্যালার্জির ওষুধ কিনে খান। টানা একমাস ওষুধ খেয়েও কোনও ফল মেলেনি… ততদিনে বৃদ্ধার চেহারার আকার নিয়েছে থি ফুয়ং-এর গোটা শরীর। সূত্র: ডেইলি মেইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *