সৈয়দ জুয়েল: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বের হয়ে যাবার একদম শেষ প্রান্তে, শুধু আনুষ্ঠানিকতা টুকু বাকী। ই,ইউর অন্য দেশগুলোর চেয়ে আয়ারল্যান্ড প্রতিবেশী রাস্ট্র হওয়ায় ব্যাবসা বানিজ্যর দিক থেকে দুটো দেশেরই আলোচনার টেবিলে বসে এর সমাধানের কোন বিকল্প নেই বলে মত ব্যাক্ত করেছেন আইরিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী সায়মন কভেনি সহ নেতৃবৃন্দরা।
অনেক ব্রিটিশদের স্থায়ী ব্যাবসা আয়ারল্যান্ডে, আবার আইরিশরাও ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে ব্যাবসা করে আসছেন। কিন্তু ব্রেক্সিটের কারনে পরিবর্তন আসতে পারে এ নীতিতে। তবে ই,ইউর অন্য রাস্ট্রের সাথে ব্যাবসায় কঠোর নীতি থাকলেও আইরিশদের সাথে সে নীতিতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই বলে এখানের ব্যাবসায়ীদের ধারনা।
মূলত গতকালের ব্রেক্সিট নিয়ে পাবলিক মিটিংয়ের মূল বিষয় ছিল ব্যাবসা সংক্রান্ত লাভ ক্ষতির হিসাবের এবং এ থেকে উত্তরনের। আইরিশরা যারা ব্রিটেনে আছেন আবার আয়ারল্যান্ডেও যে সব ব্রিটিশরা আছেন তারা যেন স্বাভাবিক যাওয়া আসায় কোন প্রভাব না পরে সে বিষয়েও আলোচনা চলছে দু দেশের ভিতর।
এদিকে আয়ারল্যান্ডের ৬০% খাদ্য সামগ্রী আসতো ব্রিটেন থেকে, ব্রেক্সিটের কারনে বাজার হারালে ব্রিটেনও কম ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা, তাই আলোচনা করে একটা সুষ্ঠ সমাধানে না আসলে দু দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এদিকে মাছের বাজারেও এর বিরুপ প্রভাব পরতে পারে। ম্যাকরেল ও ট্রাউট মাছগুলো মূলত আসে ব্রিটিশ সি থেকে আইরিশ সি তে। এ নিয়ে দু দেশের ভিতর একটা সমঝোতায় না আসলে আইরিশ জেলেদেরও ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। সব মিলিয়ে ব্রেক্সিট চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে এ দুটি দেশের ভিতর।
তবে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আইরিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী সায়মন কভেনি। গলওয়ে বে হোটেলের বলরুমে এ আলোচনায় অন্যান্যর মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন-হিলগ্রেড নকটন( টি,ডি), শেন কেনী( চিফ হুইপ ও ল্যাগুয়েজ কালচারাল মিনিস্টার), জুলি সিনামন(সি,ও) এন্টারপ্রাইজ আয়ারল্যান্ড, ব্রীজ ফক্স, এলান আহেরাইন, মার্ক গান্টলি, শিবলি চৌধুরী প্রমূখ।