আবাইর ভোটার রেজিস্ট্রেশনে হতাশা

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: উত্তাপ, আগ্রহ কোনটাই নেই অল বাংলাদেশী এসোসিয়েশন (আবাই)র ভোটার রেজিষ্ট্রেশনের। নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা-ও জানাতে এখন পর্যন্ত ব্যার্থ কমিশন। সব কিছুতেই চলছে ঢিলে তালে। এদিকে আগামী মার্চের ভিতর নির্বাচন না করতে পারলে বর্তমান উপদেস্টা পরিষদ আর নির্বাচন কমিশনও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে আবাইর নির্বাচন সঠিক সময় হবে কি না তা নিয়ে সংশয় কাটছেনা।
ভূলটা হয়েছিলো যেদিন আবাইর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো, সেদিনই। উপদেস্টা পরিষদ ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কিছু লোকের অনুপস্থিতিতে তাদের নাম দেয়া হয়েছিল তাদের সাথে কোন রকমের আলোচনা ছারা। শুধু মাত্র ব্যাক্তিগত সম্পর্কের জন্য এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে মত অনেকের। এবং এতে অনেকে নিজের নাম দেখে বিব্রতও বোধ করছেন। আবাই নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ বাঙ্গালীদের আগ্রহ হারিয়ে যেতে বসেছে বেশ কিছু কারনে। এ বিষয় বেশ কিছু বাঙ্গালীদের সাথে কথা বললে তারা যানান- অতীতের কমিটি দুই বছরের মেয়াদে এরশাদ সরকারের মত নয় বছর জোর করে কাল ক্ষেপন করে কাটিয়েছেন। এ নয় বছরে কম হলেও তিন থেকে চারটি নির্বাচন হতে পারতো।
আর এতে করে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই থেকে শুরু করে কমিউনিটির প্রতি আকৃষ্ট ও হত এখানকার বাঙ্গালীরা। গত নয় বছরে আবাই বড় কোন ইভেন্ট করে বাংলাদেশীদের সম্পৃক্ত করতে পারেনি,আবাইর প্রতি জনমনে বিরুপ ধারনা জন্মাবার এটাও একটা কারন হতে পারে বলে মত অনেকের। তবে বিশ্লেষনে মতভেদের চুল চের বিশ্লেষনে না গিয়ে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে আসতে আবাইকে। এটার সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় জড়িত। বিদেশের মাটিতে একটা শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ কমিউনিটি একটি দেশের সংস্কৃতির ধারাকে অনেক উপরে তুলে নিয়ে আসতে পারেন।
আবাই নির্বাচন নিয়ে যে সংকট তৈরী হয়েছে তা থেকে বের হতে হলে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এক জরুরী বৈঠক ডেকে আলোচনার কোন বিকল্প নেই। আর না হলে আবাই হারিয়ে যাবে অপরিপক্কতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে,যেটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। অতীতের ভূল গুলি শুধরে নুতন উদ্যোমে আবাই তার কার্যক্রম শুরু করলে উপকৃত হবে এখানকার বাঙ্গালীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *