সৈয়দ জুয়েল: বাবার দেয়া ছোট এক টুকরো জমিতে খুপরীর মত ঘরে লুলিয়া বেগমের বাস। শীতের হাওয়া ভাঙ্গা ঘরের ফাঁক গলে শরীরকে যখন স্পর্শ করে-অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন একটু উষ্মতা খোঁজার। জীবনটা এরকম ছিলনা লুলিয়া বেগমের।
অল্প বয়সে বিয়ের পরে স্বামী সংসারে খুশী-ই ছিলেন লুলিয়া। এক ছেলে এক মেয়ে হওয়ার পরে কোন এক কালো দিনে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। একা হয়ে পরেন লুলিয়া। ২৫ বছর আগে স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরে আর বিয়ে করে সুখ খোঁজার চেস্টা করেননি। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়ে আজ বার্ধক্যে। সন্তানরাও বিয়ে করে অন্যত্র। দারিদ্রতা তাদেরও সঙ্গী। তারাও খোঁজ নিতে পারেননা তাদের মায়ের। আগের মত শরীরও আর চলে না যে কাজ করে নিজের ক্ষুধা নিবারনে।
নলছিটির নাজমা বেগম (বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত) যখন পুওর ফান্ড ফর বাংলাদেশের সদস্যা হয়েছিলেন-তখন তার ভাবনায় ছিল তিনি যখন লটারীর ড্র তে টাকা পাবেন, তখন এ অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়াবেন। ভাবনার সাথে বাস্তবতা ধরা দেয় গত মাসের ড্র। ড্র তে নাজমা বেগমের নাম আসতে দ্রæত ঝালকাঠি জেলার নলছিটির বৈচুন্ডী গ্রামের লুলিয়া বেগমকে একটি গরু কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল নাজমা বেগমের পক্ষ থেকে লুলিয়া বেগমকে গরু দেয়া হয়।
গরুটি পেয়ে ৫২ বছরের লুলিয়া বেগমের চোখে যে প্রাপ্তির জল এসেছিলো। সেখানেই পুওর ফান্ড ফর বাংলাদেশের সদস্যা হওয়ার স্বার্থকতা খুঁজে পেলেন নাজমা বেগম।
২০২০-০২-০৭