পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীতে আপন ভাই’র বেদম পিটুনিতে নিহত হয়েছেন ফরিদ হোসেন (৪৫) নামক এক ব্যক্তি। পারিবারিক সম্পত্তির একটি ষ্টলের ভাড়া আদায় নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফরিদ হোসেনকে পাইপ দিয়ে পেটানো ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর বগুড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, প্রধান অভিযুক্ত নিহত ফরিদের ভাই শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে সবার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম নান্না ও তার ছেলে সিয়ামকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিহত ফরিদ হোসেন বগুড়া প্রধান সড়ক সংলগ্ন জেসমিন ভিলা নামক বাড়ির বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম মজিদ খান ধর্ণাঢ্য ঠিকাদার ছিলেন। তার ১০ ছেলে ও ৩ মেয়ে। ফরিদ হোসেন এক সময় ওষুধ প্রস্তত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও বর্তমানে বেকার ছিলেন। তিনি এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরীর গুরুত্বপূর্ন এলাকা বগুড়া প্রধান সড়কে মরহুম মজিদ খানের রেখে যাওয়া বড় ভূসম্পত্তি নিয়ে তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চরমে। প্রায়ই তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটতো। এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে ভাইদের মধ্যে মারামারি হয়। তখন ফরিদ হোসেনকে একটি লোহার পাইপ দিয়ে বেদম পেটানোর পর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বড় ভাই মফিজুল ইসলাম নান্না, আরেক ভাই মজিবর রহমান উপস্থিত থাকলেও মুলত শাহআলমই ফরিদকে পিটিয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেসমিন ভিলা নামক বাড়ির প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি ষ্টলের ভাড়া আদায় নিয়ে দুই ভাই ফরিদ ও শাহ আলমের মধ্যে বিরোধ ছিল। রোববার সকালে ফরিদ ভাড়াটিয়া কাজলের কাছে জানুয়ারী মাসের ভাড়া চাইলে কাজল তাকে দিতে অস্বীকার করেন। এ সময় সেখানে শাহ আলমও উপস্থিত হন। তখন দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মারামরিতে ফরিদ রক্তাক্ত আহত হন। তাকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নেয় হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *