নাগরিক রিপোর্ট: বরিশাল পুলিশ লাইন্সে হৃদয় দাস (২২) নামে এক কনস্টেবল নিজের নামে ইস্যুকৃত রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্নত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় পুলিশ লাইন্স এর নতুন ৬ তলা বিশিস্ট ব্যারাক ভবনের ছাদে দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। তবে জেলা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে টের পেয়ে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর আগে হৃদয় তার বাবা ও ভাইকে দুটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম। নিহত ওই কনস্টেবলের বাড়ি দ্বীপ জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জের হাট চরডোস গ্রামের সুকন্ঠ সাহার পুত্র। পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, প্রেমে ব্যার্থ হয়ে হৃদয় আতœহত্যা করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হৃদয় দাসের ডিউটি ছিল। ডিউটিকালীন কোন এক সময় তিনি তার ইস্যুকৃত রাইফেল দিয়ে গুলি করে আতœহত্যা করেছেন। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাইন্স এর নতুন ৬ তলা বিশিস্ট ব্যারাক ভবনের ছাদে একজন কাপড় শুকা দিতে গিয়ে সেখানে হৃদয়ের লাশ দেখতে পান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈম বলেন, রাইফেলের গুলি হৃদয়ের থুতনির নিচে লেগে মাথা থেকে বেড় হয়ে গেছে। এ খবর পেয়ে তাকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, হৃদয় দুটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। একটিতে তার বাবার উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তার মৃত্যুর জন্য কেউই দায়ী নন।’ অপর সুইসাইড নোটে তার ভাইকে লিখেছেন, ‘বাবাকে দেখে রাখিস’। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইম বলেন, এটি যে আতœহত্যা তা অনেকটাই তারা নিশ্চিত। এরপরও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে জানা গেছে, হৃদয়ের প্যান্টের পকেটের মানিব্যাগে এক তরুনীর ছবি যাওয়া গেছে। চাঁদপুরের ওই তরুনীর সাথে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত সম্প্রতি ওই তরুনীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। ওই ঘটনার জেরে হৃদয় আতœহত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রæয়ারী পুলিশ মহাপরিদশর্ক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ৬ তলা বিশিস্ট ওই ব্যারাক ভবন উদ্বোধন করেন।
২০২০-০৩-০৬