নাগরিক ডেস্ক : কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেল ছাত্রী আনুশকাহ নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় স্বীকরোক্তীমুলক জবানবন্দী দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামী ফারদিন ইফতেখার দিহান। তিনি শুক্রবার ঢাকা মূখ্য মহানগর আদালতে ১৬৪ ধারায় প্রায় দেড়ঘন্টা জবানবন্দি দেন। মামলার একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দিহান বলেছে করেছে, ঘটনার শিকার অনুশকাহ নুর তার প্রেমিকা। তারা স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক করার সময় রক্তক্ষরনে অনুশকাহ মারা গেছেন।
এর আগে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান। তবে দিহান নিজেই জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আর রিমান্ড শুনানির দরকার পড়ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ভিত্তিতে আজ শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের কলাবাগানের একটি ফ্ল্যাটে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার বাবা। এজাহারে তিনি জানান, তার মেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কোচিং থেকে পেপার্স আনার কথা বলে বাসার বাইরে যায়। এরপর বেলা একটা ১৮ মিনিটে মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোনে কল আসে। ফারদিন ইফতেখার দিহান নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, মেয়েটি অচেতন অবস্থায় পড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে মেয়েটির মা আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে মারা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, দিহান তাদেরকে বলেছেন, তার সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শারীরিক মিলনের এক পর্যায়ে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুরতহালে মেয়েটির শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের বাইরে আর কোনো কিছু করা হয়েছে কিনা, সেটিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।