নাগরিক রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যে ব্যাংক লেনদেনের সময় ও আওতা আরও বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেনে এবং বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। এছাড়া জেলার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও প্রতিটি ব্যাংকের (যে ব্যাংকের শাখা আছে) অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। বর্তমানে মতিঝিলসহ নির্দিষ্ট কিছু এলাকা বাদে একটা পর্যন্ত লেনদেন এবং দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা এবং চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় সব শাখা বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং তিনটা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। দেশের অন্য এলাকায় একটা পর্যন্ত লেনদেন এবং ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়া আগের নির্দেশনায় অনলইন সুবিধা থাকা ব্যাংকের শুধুমাত্র মহানগর ও জেলায় পর্যায়ে (যাদেও শাখা আছে) অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছিল। তবে এবারে প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত হবে। এর মধ্যে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাযের বিরতি থাকবে। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শাখা ও প্রধান কার্যালয় বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। অনলাইন সুবিদা আছে এমন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। তবে তবে প্রতিটি উপজেলা, জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। আর মহারগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা ( যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পর্ণ হয়) খোলা রাখতে হবে। শিল্পঘন এলাকা এবং রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এ অবস্থিত সব ব্যাংকের প্রতিটি শাখা খোলা রাখতে হবে। এছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা কওে খোলা রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক টাকা রাখা ও সচল রাখার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০২০-০৫-০৫