নাগরিক রিপোর্ট: ভূমিদস্যুদের রামরাজত্বের জনপদে পরিনত হয়েছে বরিশালেল কাউনিয়া থানার আওতাধীন চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া এলাকা। এর নেতৃত্বে রয়েছে স্থানীয় ভুমি দস্যু জামাল শরীফ। তার কুটকৌশলে ওই এলাকার বহু মানুষ ভিটে মাটি ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলে নিতে এলাকার মানুষ কুপিয়ে জখম করছে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতারও করেছে। অভিযোগ রয়েছে, জামাল শরীফ মুলাদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার পদে কর্মরত থাকলেও সরকারী দায়িত্ব পালন না করে অফিসে অনুপস্থিত থেকে সাপানিয়ায় ভুমিদস্যুদের গ্যাং গড়ে তুলেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি এই বাহিনীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে আজমল মীর নামের একজন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জামাল শরীফ গংদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারনার ঘটেছে। ভুক্তভোগী মীর আল আমিন নামক এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই বরিশাল কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে কাউনিয়ার সাপানিয়া এলাকায় বাদীর ছোট ভাই হাদিস মীর চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামের মোঃ নুরে আলমের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছে। বিবাদী জামাল শরীফ ওই জমি হঠাৎ নিজের বলে দাবী করে। গত ১৬ মে জমির মালিক ভবন নির্মান সামগ্রী রাখতে গেলে জামাল শরীফ ও তার লোকজন বাধা প্রদান করে। এর প্রতিবদি করলে গেলে বাদী আলামিন মীর কে মারধর শুরু করে শরীফ গংরা। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বড় ভাই আজমল মীরকে কুপিয়ে জখম করে জামাল শরীফ সহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা।
এদিকে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করতে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে ২০১৮ সালে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে জামাল শরীফ। তবে অতিরিক্ত বরিশাল জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জামাল শরীফের মামলা খারিজ করে দেয় এবং তারিকুল ইসলাম হাদিস মীর জমিতে ভোগ দখলসহ থাকার পক্ষে রায় দেন, পাশাপাশি অফিসার্স ইনচার্জ কাউনিয়া থানা কে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেখভাল করার জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভুমি দস্যু জামাল শরীফের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভুমিদস্যু জামাল জামাল বাহিনী গা ঢাকা দিয়ে এলাকায় ত্রাস চালাচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে জমির মালিক হাদিস মীর বলেন, বৈধ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জমি ক্রয় করি এবং যা দখলেও রয়েছে। সেই জমি কেউ মালিকানা দাবী করলে তা ভুমিদস্যুতা ছাড়া আর কিছুই না। তার পরও আইনের দরজা সবার জন্য খোলা আছে। প্রতিপক্ষরা আমার ভাইদের কে হত্যার চেষ্টায় মারধর করেছে।
এব্যাপারে কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ আজমল করিম বলেন, তারিকুল ইসলাম হাদিস মীরের ক্রয় করা জমি প্রতিপক্ষ জামাল শরীফ দখল চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাদিস মীরের দুই ভাইকে হামলা চালিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এজাহার ভুক্ত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
২০২০-০৫-২০