সংখ্যালঘুরা দেশের সৌন্দর্য

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান মিলেমিশে যে দেশগুলোতে থাকে, তারাই সত্যিকারের গনতান্ত্রিক রাস্ট্র। বাংলাদেশে মুসলমান জাতি ছাড়া অন্য জাতির লোকজন যেরকম সংখ্যালঘু, সেরকম ইউরোপ, আমেরিকাতে মুসলমানরাও সংখ্যালঘু।ইউরোপ, আমেরিকা যদি সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন করে-মুসলমানদের যেমন টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পরবে, ঠিক তেমনি মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতে অন্য ধর্মের লোকের উপর হামলা করলে টিকে থাকা সহজ হবেনা। প্রতিটি মানুষই তার জন্মের পরে তার বাবা, মায়ের মুখ থেকে তার ধর্মের কথা শুনে থাকে। শিশুটির বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার ধর্মের বিশ্বাসও তার কাছে বড় হতে থাকে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও যেরকম মুসলমানরা নির্যাতিত হয়, সেরকম বাংলাদেশেও হিন্দুরা নির্যাতিত। দূর্ভাগ্যক্রমে দুটি রাস্ট্রই গনতন্ত্রের চর্চা করে! ভারতে যেমন পুড়ছে মুসলমানের বাড়ীঘর, বাংলাদেশও পুড়ছে হিন্দুদের বাড়ীঘর। এ যেন ধর্মের লড়াইয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রানপন চেস্টা। মানুষ হিসেবে না দেখে ধর্ম দিয়ে আলাদা করার এক অপ সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে এ দু দেশে।

প্রতিটি ধর্মেই মানবতার কথা বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মুসলমানদের কাছে তার ধর্ম যেরকম, হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ তাদের ধর্মও তাদের কাছে সেরকম। বিচারের মালিক যেমন কোন মানুষ নয়,তাহলে কেন এই হানাহানি? কেন এই বৈষম্য? মসজিদ, মন্দির, গীর্যায় তো কোন খারাপ আলোচনা হয়না, তাহলে এই ইবাদত করে আমরা কি শিক্ষা নেই!

উত্তম আচরন একটি ধর্মের ছাঁয়ার মত,আপনার আমার বাজে আচরনে আমাদের ধর্মকে আমরা কেন কলুষিত করবো? হোক সে হিন্দু বা মুসলমান। ইউরোপ, আমেরিকাতে সংখ্যালঘুরা যতটা ভাল আছেন -তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কি ভাল আছে সংখ্যালঘুরা? পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত অকার্যকর রাস্ট্র হওয়ার স্বপ্ন আমরা দেখিনা।

সংখ্যালঘুদের জান মালের নিরাপত্তা দিতে রাস্ট্র বাধ্য। আমার দেশে আমারও যতটুকু অধিকার রয়েছে নিরাপদে মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় ঘুরে বেড়ানো, তেমনি আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদেরও সেই অধিকার রয়েছে। কারো অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা আমার ধর্ম আমাকে দেয়নি, কারো বাড়ীতে আগুন দেয়াও আমার ধর্ম আমাকে শেখায়নি। আমার ধর্ম আমাকে শিখিয়েছে মানুষকে ভালবাসতে। পাপ আর পূন্যের বিচার স্রস্টাই করবেন।

আল্লাহ তা’আলা বিচারক হিসেবে যেহেতু আমাকে নিয়োগ দেননি,তাই নিজ ভাল কর্মে যতটুকু সময় দিব,ততই মঙ্গল। ক্ষনিকের সময়ে আমরা সবাই মেহমান, এখানে যতটুকু ভাল কাজ করবো,পরকালের হিসেব ততই সহজ হবে। মানুষ মেরে, পুড়ে নৈতিক অবক্ষয় হয়, মঙ্গল নয়। হোক সে মুসলমান বা হিন্দু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *