ভাস্কর্য বিতর্ক ও ভাবনা

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। পশু, পাখি, ফল, ফুল, মানুষের ভাস্কর্যের ইতিহাসটাও হাজার হাজার বছর আগের। বাংলাদেশের চেয়ে অধিকতর অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলাররা মিশর, ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত সহ অনেক দেশেই ছড়িয়ে রয়েছেন। ভাস্কর্য নিয়ে তাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা তেমন শোনা যায়না।

ভাস্কর্যের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সমাজের দূর্নীতি, আপোষনীতি, ধর্ষন। এসব গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে তো ভাস্কর্য বিরোধীদের চেতনা জাগ্রত হতে দেখা যায়না! প্রতি বছর যখন সৌদি আরব থেকে ধর্ষিত, গোপনাঙ্গে নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে আমাদের মা, বোনরা দেশে ফিরেন-তখন রাজপথে ভাস্কর্য বিরোধীদের আন্দোলন দেখা যায়না, বলতে শোনা যায়না সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠাতে বন্ধ করতে হবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও যেখানে নারী শ্রমিক পাঠাতে নিয়ে এসেছে তারা ব্যাপক পরিবর্তন, অনেক কাজের ভিসায় তারা সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করেছে বেশ ক’বছর ধরেই। আর আমরা কতটুকু এগিয়েছি! ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। সুন্দর, নম্র ভাষায় পৃথিবীর অনেক জটিল বিষয় সমাধান হয় বা হয়েছে। ভাস্কর্য নির্মানে পাপের স্বাস্তি নির্মাতা, হুকুমদাতারা ভোগ করবেন, দেশের সব নাগরিক নয়।

কিন্তু রমজান মাস আসার আগেই যারা কৃত্তিম শংকট সৃস্টি করে দাম বাড়িয়ে সাধারন মানুষের দূর্ভোগ সৃস্টি করে, চাকুরীতে ঘুষ গ্রহনে-খুশী হয়ে চা খেতে দিয়েছে বলে হালাল করেন। চার বছরের শিশু যখন ধর্ষিত হয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যখন নির্যাতন সইতে না পেরে নারীরা দেশে ফেরেন, তখন ভাস্কর্য বিরোধীদের চেতনা জাগ্রতে নীরব কেন? আজ ভাস্কর্য বিষয়ে যতটা সরব, দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে ততটা কি সরব ভাস্কর্য বিরোধীরা!

দেশপ্রেমও তো ঈমানের অঙ্গ। দেশকে ভালবেসে-আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। এ জাতীয় সঙ্গীতকেও বুকে লালন করতে হবে। আমাদের দেশটি যেন পাকিস্তানের মত ব্যার্থ রাস্ট্রে পরিনত না হয়, সেজন্য দেশের আলেম সমাজ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, প্রশাসন সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সফল আর সভ্য এক দেশ গঠনে সবার সন্মিলিত প্রচেস্টায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *