নাগরিক ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে দেশে একনায়কতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বিরোধী দলকে দমনের জন্য অত্যাচার, নির্যাতন অব্যাহত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
রোববার সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর মোতালেব মার্কেটে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চরমোনাই পীর বলেন, গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে ভোটাধিকার। কিন্তু এ সরকার মানুষের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর সিলেকশনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এটা করার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়নের নামে লুটপাট ক্ষমতার তলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা। এ সরকার সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। নেই আইনের শাসন। দেশে আছে শুধু স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা, গুপ্তহত্যা ও নির্যাতন। জনগণের অধিকার ও কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে এ অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন জিহাদী, ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শিব্বির আহমাদ ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সারোয়ার।