ভালবাসার সাতকাহন

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল:

ভালবাসা দেখেও হয়,না দেখেও হয়, স্পর্শেও হয়,চাহনিতেও হয়,হাসিতেও হয়, চোখের জলেও হয়। ভালবাসার দরজা কখন কার নড়ে, এর সময় আজও কেউ জানেনা। রহস্য দিয়েই শুরু ভালবাসার। অদ্ভূত এক অনুভবে প্রেম,ভালবাসার জন্ম। যার অনুভবের গভীরতা যত বেশি,তার প্রেম তত শক্তিশালী।

দূর গাঁয়ে গ্রীষ্মে শীতল পাটিতে প্রেমিকার আঁচল বিছিয়ে আগলে রাখা প্রেমিক যেমন মনে করে-তার প্রেমিকার মত আর কেউ কাউকে ভালবাসেনা, তেমনি লং ড্রাইভে গাড়ীর গ্লাস নামিয়ে প্রেমিক যখন বলে-ঠান্ডা লেগে যাবে, নামিয়ে দেই! প্রেমিকার অদূরে চোখে তখন ছলছল ভালবাসা। আহ! এরকম করে কোন পুরুষ কোন নারীকে ভালবাসে!

রকম ভেদে ভালবাসা তার রাজত্ব করছে সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই। পাল তোলা নৌকায় নিশুতি রাতে জোনাকির আলোয় ভালবাসার মানুষের অস্পষ্ট চাহনিতে-ঝলমলে চাঁদমুখি ভালবাসায় অনেকেই হারিয়ে যায়। টানা কাজল দেয়া আঁখি,লাল ফিতায় বেনি করে চুল দুলিয়ে আলতা পায়ের ছুটে চলা প্রেয়সীর পিছনে দৌড়ঝাঁপ! সবই ভালবাসা।

অভিমান,রাগ, খুনসুটি,ঝগরা এ চারটি হলো ভালবাসার সৌন্দর্য। এ ছারা ভালবাসা হলো-পাথুরে ভালবাসা। ঘন বর্ষায় প্রিয় মানুষটিকে ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখে যে প্রেমিকা,হাজারো ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ভেজা সে প্রেমিকের অনুভবে তখন শুধুই ভালবাসা। দোল পূর্নিমায় দুজনে হাতে হাত রেখে নদীর ধারে মাঝির গান শুনে-চোখে জল মুছে দেয়ার নির্ভরতার হাত দুটোই ভালবাসার হাত। গহীন অরন্যে হিংস্র প্রানীদের ভয়ে গায়ের চাঁদরে শক্ত করে যে জড়িয়ে রাখে তার প্রেয়সীকে,তা-ই ভালবাসা।

শেষ বিদায়ে শেষ একটু কথা- “আমি চললাম,তুমিও কিছুদিন পর এসো”। তোমায় ছেরে কখনো থাকিনি, একা থাকতে আমার অনেক ভয়, তাছাড়া তুমি তো যান অন্ধকারে আমার কত ভয়! পোকামাকড়েও ভয়। আমি অপেক্ষা করবো তোমার, চলে এসো তুমি! সবই ভালবাসা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *