পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থানীয় সরকার ও উন্নয়ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কোডেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, পিআরপিপিএলজিডি প্রকল্প জাতীয় তৃনমূল প্রতিবন্ধী সংস্থা, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের আয়োজনে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শিলা রানী দাস। এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর হেড অব প্রধান গোলাম ফারুক হামিম।
প্রকল্পের মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জেলা কো-অডিনেটর নাজমুল হোসাইন খান। বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা এসএম শাহজাদা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক স.ম দেলোয়ার হোসেন দিলিপ, জৈনকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম, আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ইশিতা দে, ইউপি সদস সাবিরা আক্তার সাথী, প্রতিবন্ধীদের মধ্যে আবুল কালাম ও সাথী বেগম, বিভিন্ন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, এজিও প্রতিনিধি কে.এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
কর্মশালায় ঊপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিবন্ধীরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ । তাই ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) স্থায়ী কমিটি, উন্নয়ন কমিটি ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্ন্তভূক্তকরণ এবং প্রতিবন্ধি ব্যাক্তিদের সংগঠনের জন্য বরাদ্ধ বৃদ্ধিকরণের বিষয়ে বক্তারা সরকারকে কাজ করার জন্য সুপারিশ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তথা সুবর্ণ নাগরিক এবং তাদের নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সহযোগীতা অব্যাহত আছে, থাকবে। সরকারের সহায়তা দিয়ে সকল প্রতিবন্ধিদের প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন তিনি উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলায় ২৩২৫জন কে ভাতার আওতায় হয়েছে।
১৩৭১ জন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। সরকার প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করছে সেখানে প্রতিবন্ধিদের জন্য সহজ প্রবেশদ্বার ও সিঁড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় প্রতিবন্ধিদের জন্য আলাদা প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। দেশে ইতোমধ্যে ১২৬টির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনএডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রিডিরেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারের উদ্যেগের কারণে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিরা আজ অবহেলা পাত্র নেই। তারা পরিবারের আয়ের অংশ হতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন। প্রতিবন্ধিদের উন্নয়নে যে সকল সংগঠন তৈরি হয়েছে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে।