পিরোজপুরের মেয়র ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক ও তার স্ত্রী নীলা রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দূদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৌর মেয়র মালেক ও তার স্ত্রী নীলা রহমান আসামী করে একটি মামলায় আসামী করা হয়। অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ঘুষ নিয়ে পৌরসভায় ২৫ জন জনবল নেয়ার অভিযোগে। এ মামলায় পৌর মেয়র মালেক ও কাউন্সিলর আব্দুল সালাম বাতেনসহ ২৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।


দুদকের সমন্বিত কার্যালয় বরিশালে এই দুইটি মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক আলী আকবর বৃহস্পতিবার মামলা দুটি দায়ের করেন।


পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। তার বড় ভাই একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। সরকারি জমি দখলের অভিযোগে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা আউয়ালের বিরুদ্ধে দূদকের পৃথক তিনটি মামলায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।


দুদক উপ পরিচালক আলী আকবর জানান, সম্পদের বিবরনী চেয়ে পৌর মেয়র মালেক, স্ত্রী মিসেস নিলা রহমান, কন্যা নওরীন আক্তার ও পুত্র ফয়সাল রহমানের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ ডিসেম্বর দুদক থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। পৌরসভার ২৫ জন কর্মচারী নিয়োগে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ গ্রহন, বাস ও মিনিবাস থেকে অবৈধ চাঁদা আদায়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঠিকাদারী করার অভিযোগ এনেও একই সময়ে নোটিশ দেয়া হয় পৌর মেয়রকে। নোটিশের যথাযথ উত্তর না পাওয়ায় পরে কমিশন তাকে (উপ পরিচালক আলী আকবর) এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন।
পৌরসভায় ২৫ কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পৌর মেয়রসহ অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন- স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ পরিচালক (সাবেক) তরফদার সোহেল রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম বাতেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হানিফ,

পৌর সভার সচিব (অন্যত্র বদলী) মাসুদ আলম, ক্যাশিয়ার (প্রমোশন হিসাব রক্ষক) মাইনুল ইসলাম, সহকারী কর আদায়কারী ( প্রমোশন স্টোর কিপার) মাহাবুবুর রহমান, নিম্মমান সহকারী শারাফাতুন মান্নান, সহকারী কর নির্ধারক ওয়াদুদ খান, সহকারী কর নির্ধারক মিজানুর রহমান, টিকাদানকারী ফরহাদ হোসেন মলি¬ক, সহকারী কর আদায়কারী মেহেদি হাসান চপল, সহকারী কর আদায়কারী রাশিদা বেগম, বাজার আদায়কারী রাজু আহমেদ, বাতি পরিদর্শক রবিউল আলম, অফিস সহকারী মাকসুদা খানম, ফটোকপি অপারেটর আনোয়ার হোসেন, টিকাদনকারী জামিউল হক, টিকাদানকারী লাইজু আক্তার, টিকাদানকারী রেক্সোনা মজুমদার, টিকাদানকারী জান্নাতুল ফেরদৌসী, নৈশপ্রহরী ফজলুল হক, নৈশপ্রহরী নজরুল ইসলাম, পিয়ন খাদিজা বেগম, পিয়ন দীপক কুমার পাল, সহকারী কর আদায়কারী মিজানুর রহমান মিন্টু এবং প্ররী রনজিত।


প্রসঙ্গত, ই মেয়াদে পিরোজপুরের পৌর মেয়র। সর্বশেষ গত জানুয়ারীতে তিনি বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *