জটিলতার অবসান : ফের শুরু হচ্ছে গোমা সেতুর নির্মান কাজ

Spread the love


নাগরিক রিপোট : রিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা রাঙ্গামাটি নদীর ওপর নির্মানাধীন গোমা সেতু নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টীলের পাত দিয়ে সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে। এ সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মতি দিয়েছে সেতুর উচ্চতা নিয়ে আপত্তি দেয়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিএ)। ফলে সেতুটির নির্মান কাজ শেষ করতে আর কোন বাঁধা থাকলোনা।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, একমাস আগে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় গোমা সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে ষ্টীলের পাত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। আন্তমন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বিআইডব্লিউটিএ এবং সওজকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সম্মতিপত্র মঙ্গলবার তিনি (প্রকৌশলী তারেক ইকবাল) পেয়েছেন।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, সওজের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয থেকে নতুন করে ডিজাউন অনুমোদনের পর সেতুর নির্মান কাজ পূনরায় শুরু হবে। এতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

নিমানাধীন গোমা সেতু

উচ্চতা নিয়ে সৃষ্ঠ সমস্যা নিরসনে সর্বশেষ ২ জানুয়ারী আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটি নদীতে নির্মানাধীন গোমা সেতুর সাইট পরিদর্শন করেন। ওই সময়ে তারা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেতুর গার্ডার নির্মানে কংক্রিটের বদলে ষ্টীলের পাত ব্যবহার করা হলে যে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে তাতে অনায়সে নৌযান চলাচল করতে পারবে। এতে নির্মান প্রায়সম্পন্ন হওয়া সেতুটির পিলারগুলো ভাঙ্গতে হবেনা। কয়েক কোটি টাকার গচ্চা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তখন সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেছিলেন, সেতুর পিলারগুলোর সংযোগ গার্ডার কংক্রিট দিয়ে নির্মিত হলে নদীতে সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় সেতুর উচ্চতা হবে ৭ দশমিক ৮৬ মিটার। এর বিপরীতে ষ্টীলের গার্ডার স্থাাপিত হলে আরও দেড় মিটার বৃদ্ধি পেয়ে সেতুর উচ্চতা দাড়াবে ৯ দশমিক ৩০ মিটার।
রাঙ্গামাটির নদীর গোমা পয়েন্টে সেতু নির্মান অনুমোদনের নেপথ্যে ছিলেন বাকেরগঞ্জের সন্তান জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহসিন। তিনি বলেন, সেতুটি নির্মিত হলে বরিশাল থেকে পটুয়াখালীর দুমকি পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং বাউফল উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ ও সংক্ষিপ্ত হবে।
উল্লেখ্য, বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটির নদীর গোমা পয়েন্টে ৫৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ২৮ দশমিক ২৮৩ দশমিক দীর্ঘ সেতু নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ৬৫ ভাগ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পর নৌযান চলাচল বাধামুক্ত করার জন্য ১২ দশমিক ০৫ মিটার উচুতে সেতু নির্মানের দাবী তোলে বিআইডব্লিুউটিএ। অপরদিকে সওজের দাবী, বিআইডব্লিউটিএর অনাপত্তিপত্র পেয়ে সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় ৭ দশমিক ৬২ মিটার উচু রেখে সেতু ডিজাইন করা হয়। এমন জটিল পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর সেতুটির নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। ##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *