নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে রেহেনা বেগম (৪৫) নামে এক বিধবা নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় রেহেনা বেগমকে বাচাঁতে তার মা নুর জাহান বেগম (৬৫) এগিয়ে আসলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র বাদী হয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অবশ্য হত্যাকারী এখন পর্যন্ত ধরাছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
নিহত রেহেনা বেগম শ্রীপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। হামলায় আহত রেহেনা বেগমের মা নুরজাহান বেগম একই এলাকার মৃত আব্দুর রব হাওলাদারের স্ত্রী। অভিযুক্ত তামিম মল্লিক শ্রীপুর গ্রামের মৃত রহিম মল্লিকের পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রেহানা বেগমের স্বামী আমির হোসেন বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। এরপর বাবার বাড়িতে মা নুরজাহান বেগমের সঙ্গে থাকতেন। তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী তামিম মল্লিকের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। ৪-৫ দিন আগে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে তামিম মল্লিক যান। এসময় রেহানা বেগম জমি থেকে তামিম মল্লিককে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তখন তামিম মল্লিক প্রতিবেশী রেহানা বেগমকে হত্যার হুমকি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রেহানা বেগমের ওপর হামলা করেন তামিম মল্লিক। এসময় রেহেনা বেগমকে বাঁচাতে তার মা নুরজাহান বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তামিম মল্লিক দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রেহেনা বেগমকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নুরজাহান বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, জমি বিরোধের কারনে এ হামলা চালানো হয়েছে। অভিযুক্ত তামিম মল্লিককে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। পাশাপাশি রেহানা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।