নাগরিক ডেস্ক:
অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তিন্নি আক্তারের স্বামী দাবী করে এক যুবক রোববার রাতে এলো তাদের বাড়িতে। এতে হতভম্ব ওই ছাত্রীটি গিয়ে আশ্রয় নিল আগৈলঝাড়া থানায়। এভাবেই বাল্য বিয়ের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করলো কিশোরী তিন্নি।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুলশ্রী গ্রামে। তিন্নি ওই গ্রামের শাহজাহান ফকিরের মেয়ে ও বিএইচপি একাডেমীর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ছাত্রীটি থানায় আশ্রয় নেয়ার পর তার কাছে ঘটনা শুনে রাতেই তার পিতা শাহাজাহান ফকির ও মাতা পারুল বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না এমন মুচলেকা দেয়ার পর সোমবার দুপুরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পাশের বাসুন্ডা গ্রামের রূহুল তালুকদারের ছেলে হাসিব তালুকদারের সঙ্গে গোপনে রোটারী পাবলিকের মেয়ে তিন্নির বিয়ের চুক্তিনামা করেন শাহজাহান ফকির। বিষয়টি জানতো না তিন্নি। রোববার রাতে হাসিব তালুকদার তিন্নিদের বাড়িতে গেলে সে দৌড়ে গিযে থানায় আশ্রয় নিয়েছিল।