‘নিখিলের সঙ্গে বিয়েই হয়নি, ডিভোর্সর প্রশ্ন কেন’- নুসরাত

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : টলিউড নায়িকা এবং সাংসদ নুসরাত বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানালেন, তুরস্কে তাঁর বিয়েটা সে দেশের আইন অনুযায়ী আসিদ্ধ, অবৈধ। দুই ধর্মাবলম্বীর বিয়ে হওয়া উচিত ছিল স্পেশাল ম্যারেজ আক্টে। তা হয়নি। তিনি নিখিল জৈনের সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছিলেন। এর বেশি কিছু নয়। সহবাসের জন্য ডিভোর্স নেয়া বা দেয়ার কোন প্রশ্ন ওঠে না। তিনি একজন সাবালিকা, তাঁর যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে সহবাস করতে পারেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে একটি কথাও বলেননি এ নায়িকা।
যেখানে খুশি যেতে পারেন, এতে কারও নাক গলাবার কিছু নেই। তিনি বিবৃতিতে নিখিল জৈনের নাম উল্লেখ না করে তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন। নুসরাত বিবৃতিতে লিখেছেন- শুনেছি তাঁরা বড়ো লোক। কিন্তু এ কেমন বড়ো লোক যে আমার একাউন্ট থেকে টাকা-পয়সা তুলতে হয়? আমি কারও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করিনি, কিন্তু সম্পর্কের অবসানের পরও আমার আকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারটা জানানো হয়েছে। নুসরাত বিবৃতিতে লিখেছেন- আমার যাবতীয় অলংকার, উপহার পাওয়া সোনার জিনিস, ব্যাগ, শাড়ি, পোশাক সব ওবাড়িতে আছে। সম্পর্ক যখন নেই তখন ওগুলো কার স্বার্থে আটকে রাখা হয়েছে? নুসরাত জানাচ্ছেন, তিনি একজন স্বাধীন পেশার মানুষ। নিজের উপার্জন দিয়ে বোনকে বিদেশে পড়াচ্ছেন, বাবা-মা ও পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করেছেন। এর জন্যে ওবাড়িতে থাকার সময়ও তিনি কারও কাছে হাত পাতেননি। তিনি বলেছেন, একজন স্বাধীন তরুণীর জীবন নিয়ে কোনও সাধারণ মানুষ যেন মন্তব্য না করেন। তিনি কারও বিবাহিত স্ত্রী নন যে তাঁকে আদালতে গিয়ে ডিভোর্স নিতে হবে। তিনি মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করেন যাতে মিডিয়া একজন স্বাধীন নারী সম্পর্কে কোনও অবাঞ্ছিত ব্যক্তির কাছে কোনও মতামত না নেয়। বলাই বাহুল্য, নুসরাতের এই বয়ান কোন আইনজীবীর লিখে দেওয়া। জল যে আরও ঘোলা হচ্ছে তা স্পষ্ট। নিখিল জৈনের মন্তব্য এ ব্যাপারে এখনও পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *