অবশেষে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিএম কলেজ উপাধ্যক্ষের যোগদান

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
টানা ১৮ দিন পর অবশেষে ঐতিহ্যবাহী বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করতে পারলেন প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ। গত ২৩ মে তিনি কলেজে যোগদানের চেস্টা কললেও সাধারন ছাত্রদের ব্যানারে একদল ছাত্রলীগ কর্মী তাকে প্রতিহতের ঘোষনা দেন। প্রফেসর কাইয়ুম উদ্দিন আহমদকে দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষক হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্দোলনকারীরা এতো দিন ক্যাম্পাসের গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন। এ নিয়ে বরিশালে শিক্ষক সমাজে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ যোগদানকালে ছাত্রলীগের সেই নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিকেল ৪টায় উপাধ্যক্ষ কাইউম যোগদান করেছেন। এসময় আন্দোলনকারীদের দাবীর বিষয়ে কোন কথা হয়নি বলে তিনি জানান।
যোগদানকালে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ অধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় মেয়াদ উত্তীর্ন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আল আমীন সরোর এবং আন্দোলনের নেপথ্যে নেতৃত্ব দেয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনীম পাশেই অবস্থান করছিলেন।


এ প্রসঙ্গে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ বলেন, অধ্যক্ষর কাছে যোগদানপত্র দিয়ে তিনি বুধবার বিকেলে যোগদান করেছেন। এসময় সহকর্মীরা তার সাথে ছিলেন।


তবে কলেজের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতাদের ম্যানেজ করে তাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ যোগদান করেছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতারাই অধ্যাপক কাইউমকে বৃহস্পতিবার কলেজে নিয়ে যান।


প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে উপাধ্যক্ষ হিসেবে প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ বিএম কলেজে যোগদান করার চেস্টা করলে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের একদল কর্মী। তারা ওই সময় দাবী করেন, অধ্যপক কাইয়ুম উদ্দিন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক থাকাকালে দুর্নীতি করেছেন। তিনি অস্থায়ী কর্মপরিষদ করে নানা কেলেংকারী করেছেন। তার ইন্দনে এর আগে শিক্ষকরা লাঞ্চিত হয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্থ কোন শিক্ষককে এ কলেজে ঢুকতে দেয়া হবে না এমনটাই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।


এরপর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত কলেজের সব গেট বন্ধ করে দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে আরও ৩ অধ্যাপককে যোগদানে বাধা এমনকি লাঞ্চনার শিকারও হতে হয়েছে বিএম কলেজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *