নাগরিক রিপোর্ট:
জীবন জীবিকার জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার নেতৃবৃন্দ। যাপ এর আয়োজনে লঞ্চ মালিকদের জুম কনফারেন্সে এ দাবী করা হয়েছে। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহববুব উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
কনফারেন্সে নেতৃবৃন্দ দাবী করেছেন, ঢাকা নৌ-বন্দর থেকে চাদপুরসহ দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ৪১টি রুটে ২২০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের সময় দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী পারপারে ২২০টি লঞ্চ দিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে মাওয়া-আরিচা ঘাটে কয়েকটি ফেরি চালুর মাধ্যমে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যেখানে যাত্রীরা লঞ্চে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় গন্তব্যে পৌছতে পারতো। সেখানে এখন ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা ব্যয় করেও ভোগান্তির মাধ্যমে গন্তব্যে যাচ্ছে।
কিন্তু করোনার সংক্রমনের কারনে গত এপ্রিল থেকে টানা দুই মাস ধরে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর চালু করা হলেও একমাস যেতে না যেতেই বন্ধ করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নৌযান মালিক শ্রমিকরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখলেও এর বিপরীতে সরকারের পক্ষ হতে প্রনোদনা স্বরূপ কোনো অর্থ সহযোগিতা পায়নি নৌ-যান মালিক-শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন পার করছেন নৌ-যান মালিক- শ্রমিকরা। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ জীবন জীবিকার জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে সরকারের কাছে অনুমতি দাবী করেছেন।