নাগরিক রিপোর্ট : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসা থেকে ফুলবাসী চন্দ্র দাস (৩৪) ও তার শিশু মেয়ে সুমি চন্দ্র দাসের(১২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ এই মা-মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে স্থানীয় নয়াগাঁও এলাকার ৩ নং গলির ভাড়া বাসায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফুলবাসীর স্বামী মুকন্দ দাস ওরফে কালু ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে হেফাজতে নিয়েছে।
ঘটনা নিশ্চিত হতে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে নানাধরনের আলামত সংগ্রহ করেছে। পুলিশের হেফাজতে থাকা মুকন্দ দাস ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন। মাঝেমধ্যে ঠেলাগাড়িতে ভাড়ায় পন্য পরিবহনও করেন তিনি।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (অভিযান) মহিদুল ইসলাম বলছেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তারা ওই বাসায় গিয়ে মা-মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দুইজনের গলাতেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন, শ্বাসরোধে মা ও মেয়েকে হত্যা করা হতে পারে। তবে আলামত বিশ্লেষণ ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর তারা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন। তা ছাড়া দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তথ্য বের হবে। পুলিস সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
পুলিশের হেফাজতে থাকা ঝুমা রানী দাস বলেছে, সে ভোরে ঘুম থেকে উঠে মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন প্রতিবেশিরাও আসেন। ওই সসময়ে ততার বাবাও বাসাতে ছিলেন। পরে পুলিশকে খবর দেয়।