নাগরিক রিপোর্ট ॥
ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন কেদারপুর। সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী মোল্লারহাট ও ভাঙ্গার মুখ এলাকার পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে ৫টি বসতঘর ও ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় তথ্যমতে, গত ৩ দিনে কেদারপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা আকস্মিক নদী গর্ভে বিলীন যায়। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইউনিয়নটির মোল্লার হাট ও ভাঙ্গার মুখ নামক এলাকা। বুধবার সন্ধার মধ্যে কয়েক দফা ভেঙ্গেছে মোল্লার হাট এলাকা। সেখানে পাঁচটি বসতবাড়ি, ফলজ বৃক্ষসহ কয়েক একর ফসলী জমি আকস্মিক দেবে গেছে। ঝুকিতে রয়েছে পার্শবর্তী সাইক্লোন সেন্টার, মসজিদ, মাদ্রাসা ,কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। এর ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থরা।
এদিকে খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান। বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে যান ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুল ইসলাম। তারা গৃহহারা ৫টি পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্থ ১৮টি পরিবারের মাঝে গৃহ প্রদান ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী বলেন, তিনি খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাবার সরবরাহ করেছেন। ভাঙন কবলিত এলাকার ৫টি ঘর ইতোমধ্যে নদীতে চলে গেছে। ঝুকিতে আছে আর বেশ কয়েকেটি। বেশ কিছু স্থাপনাও ভাঙনের মুখে রয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুত বিচ্ছিন্ন এলাকা কেদারপুরের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে গৃহহারা হবেন অসংখ্য গ্রামবাসী।
২০১৯-০৭-২০