নাগরিক রিপোর্ট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার পর নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক ব্যক্তি। জামাতার কোপে প্রাণ হারিয়েছেন শাশুড়ি। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নের কড়ইকান্দা গ্রামের জোছনা রানী শীলের মেয়ে ইতি রানী শীলের সঙ্গে পাশের উপজেলা ফুলপুরের চরনিয়ামতপুর গ্রামের অবলেশ শীলের ছেলে সুজিত শীলের বিয়ে হয়। গত আটমাস ধরে সুজিত শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে অবস্থান করছিলো। শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেও নেশাগ্রস্থ সুজিত টাকার জন্য স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাতো। এ নিয়ে সংসারে কলহ লেগে থাতো প্রতিনিয়ত।
প্রত্যক্ষদর্ সুত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে শাশুড়ি ও স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ায় সুজিত। এক পর্যায়ে দা’ নিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে স্ত্রী ইতি রানীকে। মেয়েকে কোপাচ্ছে দেখে বাঁচাতে যান মা জোছনা রানী শীল (৬০)। ওই সময় শাশুড়িকেও কোপাতে শুরু করেন। এক হাত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় শরীর থে।ে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান জোছনা।
স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে ফেলে রাখার পর নিজেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিজতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় ইতি রানীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে হত্যার অভিযোগে সুজিতকে আটকের পর তাকেও একই হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা চলছে।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সন্ধ্যা রানী শীল বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।##