নাগরিক ডেস্ক:
বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখ ও লিটন দাসের ফিফটিতে চার উইকেটে ১৭১ রান করে টাইগাররা। নাঈম ৬২ ও মুশফিক ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
শারজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতিতে শুরু করে টাইগার দুই ওপেনার। পাওয়ারপ্লে শেষ হবার আগের বলে লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। লিটন ফিরেছেন ১৬ বলে ১৬ রান করেই। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৪১ রান। সর্বশেষ ৭ ম্যাচে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি এটিই।
তিন নাম্বারে নেমেই চার দিয়ে শুরু করেন সাকিব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দলীয় ৫৬ রানে করুনারত্নে পান বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে বড় উইকেটটা। ৭ বলে ১০ রান করে ফেরেন সাকিব।
দ্রুত লিটন ও সাকিবকে হারানোর ধাক্কা সামলে নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার নাঈম শেখ ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম সামাল দেন দলকে। নাঈম শেখ তুলে নেন টুর্নামেন্টে তার দ্বিতীয় ফিফটি। ৪৪ বলে ফিফটি তুলেন নাঈম। তবে ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন তিনি। ৫২ বলে ৬২ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। নাঈমের এই ইনিংসটি ৬টি চারে সাজানো। এরপর ব্যাট করতে নেমে ৭ রান করতে পেরেছেন আফিফ।
নাঈম ফিরলেও আক্রমণাত্নক ব্যাটিংয়ে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। কুমারার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিকের এটি ২৯তম ম্যাচ।এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিকের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪৭, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের এটি ষষ্ঠ ফিফটি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে মুশফিক খেলে যান শেষ পর্যন্ত। ৩৭ বলে ৫টি চার এবং দুটি ছক্কার সুবাদে অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। আর ৫ বলে ১০ রানে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট পান করুনারত্নে, কুমারা ও ফার্নান্ডো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। আগের ম্যাচে দলে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদের বদলে এই ম্যাচে দলে নেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে।